
0-0x0-0-0#

শুভ্র মজুমদার, কালিহাতী (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সালেংকা গ্রামে জাগির মাহমুদ মন্ডল ওয়াক্ফ স্টেটের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে বিক্রির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওয়াক্ফ স্টেটের শুভাকাঙ্ক্ষী ও গ্রামবাসী।
শনিবার বিকেলে জাগির মাহমুদ মন্ডলবাড়ি প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শহীদুল ইসলাম শহীদ বলেন, জাগির মাহমুদ মন্ডল জীবিত অবস্থায় এই ওয়াক্ফ স্টেটটি প্রতিষ্ঠা করেন (নিবন্ধন নম্বর: ১০৫৮০)। ওয়াক্ফ দলিলের শর্ত অনুযায়ী তাদের পালকপুত্র কলিম উদ্দিন সরকার এই সম্পত্তির পরবর্তী মোতাওয়াল্লি হন। এরপর শর্ত ছিল—পরিবারে যিনি বয়োজ্যেষ্ঠ ও ধার্মিক হবেন, তিনিই হবেন মোতাওয়াল্লি।
এরই মধ্যে ওয়াক্ফ সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে গ্রামটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি পক্ষ মিথ্যা তথ্যের আশ্রয় নিয়ে কলিম উদ্দিন সরকারকে সন্তানহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করে এবং এক নতুন মোতাওয়াল্লি নিয়োগের উদ্দেশ্যে মামলা করে।
পরবর্তীতে আমজাদ হোসেন এবং সোহরাব মোতাওয়াল্লি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সোহরাবের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর আওয়ামী সরকারের সাবেক এমপি আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ডিও লেটারে আবদুল আজিজ মোতাওয়াল্লি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আবদুল আজিজ ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করলেও তাঁর সময়ে ওয়াক্ফ স্টেটের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব দেননি এবং অবৈধভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন। প্রায় দুই থেকে তিন বছর আগে আবদুল আজিজের মৃত্যু হলে ওয়াক্ফ স্টেটটি বর্তমানে কোনো বৈধ মোতাওয়াল্লি ছাড়াই চলছে। অথচ আবদুল আজিজের ছেলে মোসলেম উদ্দিন নিজেকে মোতাওয়াল্লি দাবি করে, ওয়াক্ফ স্টেটের ফলনযোগ্য জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মসজিদ নির্মাণের কথা বলে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করছেন, যা পুরো ওয়াক্ফ স্টেটকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারা দাবি করেন, মোসলেম উদ্দিনের মোতাওয়াল্লি হিসেবে কোনো বৈধতা নেই।
তাদের এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে মোসলেম উদ্দিন ও লতিফ গং জাগির মাহমুদের মনোনীত মোতাওয়াল্লি কলিম উদ্দিন সরকারের উত্তরাধিকারীদের ভয়ভীতি দেখান এবং হামলার হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—কলিম উদ্দিনের ছোট মেয়ে জাহানারা বেগম, নাতি তৌহিদ রশিদ, গ্রামবাসী জহিরুল হক দুলাল, চাঁন মাহমুদ, ইমান আলী মিয়া, ছানোয়ার হোসেন ও হানিফা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অবৈধ এ কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি জমি রক্ষা ও ওয়াক্ফ স্টেটের স্বার্থ সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়।