

এম,এ,মান্নান, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
পেটে যখন খাবার থাকে না তখন কিসের ন্যায় অন্যায় বিচার করার ক্ষমতা হারিয়ে যায়।আজ কিছু শিক্ষকগণ মহোদয় ২৫-৩০ বছর ধরে নাম মাত্র শিক্ষক হয়ে দাড়িয়ে আছে। আমাদের মার্তৃভূমি বা সবার মার্তৃভূমি মায়ের মতো শ্রদ্ধা কার উচিৎ কিন্তু সে মা যদি অভুক্ত রাখেন তখন সম্মান করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সন্তানরা।
বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন মূলক কাজ যথারীতি চলছে কোন সমস্যা নেই কিন্তু যখন নন এমপিও শিক্ষকগণ তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামছে তখন পুলিশ দিয়ে প্রতিহত করা হচ্ছে।একটি রাষ্ট্রের মূল চাবিকাঠিই হলো শিক্ষা,যাকে বাদ দিয়ে জাতির উন্নতি কল্পনাও করতে করা যায় না।কিন্তু সে রাষ্ট্র আজ শিক্ষার অবিভাবককে লাঞ্চিত করছে।আজ ছাত্র সমাজ যখন বুঝতে পারলেন ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার যেভাবে দেশকে পরিচালনা করছেন তাতে দেশ কিছুদিনের মধ্যে দেউলিয়া হতে বাধ্য।তখন ছাত্র সমাজ ঝাপিয়ে পড়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে আজ জাতিকে উপহার দিয়েছেন কোটা মুক্ত সোনার বাংলাদেশ। তাহলে নন এমপিও শিক্ষকগণ কি দ্বিতীয়বার স্বাধীন রাষ্ট্রের কোন সুবিধা পাচ্ছে? শিক্ষকগণ কোন নাসকতা করেন নি বা কোন সরকারী সম্পদ নষ্টও করেন নি শুধু তাদের পেটের ক্ষুধার জ্বালা পেশ করলেন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে।শিক্ষাবান্ধব প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষকদের এই বাস্তবতা দেখে সমগ্র বাংলাদেশের সকল নন এমপিও শিক্ষকগণ কে এমপিও ভুক্তির আশ্বাস দিলেন।কিন্তু কাগজের কথা কাগজেই রয়ে গেল তা কি আদৌ বাস্তবে রুপ পাবে?
শিক্ষা মন্ত্রনালয় যখন স্বীকৃতি প্রদান করেন তখন সরকার বাহাদুরকে ভাবা উচিৎ ছিলো এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগণকে বেতনের আওতায় আনতে পারবেন কি না।আবার অনেক সময় শোনা যায় মন্ত্রনালয় বলেন এত প্রতিষ্ঠানের বেতন ভাতা নেয়?সচিবগণ যখন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন তখন তো সকল প্রতিষ্ঠানের হিসেব থাকে তাহলে তারাই তো ঢাকা থেকে বলতে পারবেন বাংলাদেশে কত প্রতিষ্ঠান আছে আর কত প্রতিষ্ঠান এমপিও আওতায় আছে।
মানুষ যখন নিরুপায় হয়ে যায় তখন কি ভালো আর কি মন্দ যাচাই করতে পারে না।ইচ্ছে করে কিন্তু কেউ কারও কাছে হাত পাতেন না যখন কিছু করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখনই মানুষ মানুষের কাছে হাত পাতে।ছাত্র জনতার আন্দোলনের কথা মনে পড়লে মনে পড়ে সেই আপুটির কথা “পেছনে ফেরার রাস্তা নেই, এখন পিছনে পুলিশ আর সামনে স্বাধীনতা তাহলে কোনটি আমাদের কাম্য”।তাই শিক্ষকগণ পরিবারের কান্না সহ্য না করতে পেরে বার বার আন্দোলনের পথ বেছে নেয়।এটা যদি সরকার বাহাদুর মনে করেন এটা অন্যায় তাহলে নন শিক্ষকগণ অন্যায় করছেন কিন্তু একটি মানুষ যখন দিনের পর দিন না খেয়ে থাকেন তখন কোনটি ন্যায় আর কোনটি অন্যায় দেখার সময় থাকে না। নন এমপিও শিক্ষকগণ বলেন আমাদের বিশ্বাস আমাদের প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের খালি হাতে ফেরৎ দিবেন না।