

শুভ্র মজুমদার, কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সালেংকা গ্রামে অবস্থিত জাগির মামুদ মণ্ডল ওয়াক্ফ টেস্ট (নিবন্ধন নং ১০৫৮০) নিয়ে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ ও সঠিক তথ্য তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওয়াকফটির প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের বংশধর ও গ্রামবাসী।
৫ মে (সোমবার) দুপুড়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লী মোসলেম উদ্দিন। তিনি জানান, জাগির মাহমুদ মন্ডলের বংশধর না হয়েও কিছু ব্যক্তি নিজেদের বংশধর পরিচয় দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। বাংলাদেশ আইনে পিতার দিকের উত্তরসূরীই বৈধ বংশধর। যাঁরা মিথ্যা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তাঁদের কেউ-ই জাগির মাহমুদের পিতৃসূত্রীয় উত্তরসূরী নন।
তিনি আরও জানান, ওয়াক্ফ দলিল অনুযায়ী ওয়াক্ফ দাতা জাগির মাহমুদ মন্ডল প্রথম মোতাওয়াল্লী ছিলেন। পরবর্তীতে দায়িত্ব পান তার স্ত্রী চিনিতন নেছা এবং পালক পুত্র কলিম উদ্দিন সরকার। এরপর ১৯৭৯ সালে আদালতের আদেশে সিরাজ হাজী পঞ্চম মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। পরে একে একে দায়িত্ব পালন করেন আমজাদ হোসেন, সোরহাব আলী ও আব্দুল আজিজ। ২০১৬ সালে কলিম উদ্দিন সরকারের মেয়ে জাহানারা বেগম মোতাওয়াল্লী দাবিতে হাইকোর্টে একটি মামলা (নং-৫৮২০) দায়ের করেন, যা ২০২৩ সালে খারিজ করে আব্দুল আজিজকেই বহাল রাখা হয়। তার মৃত্যুর পর মোতাওয়াল্লী হিসেবে দায়িত্ব পান মোসলেম উদ্দিন। তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি প্রতিপক্ষের দুলাল ও তার দুই ছেলে লতিফ মন্ডলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বর্তমানে লতিফ মন্ডল গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমি জাগির মাহমুদের বংশধর এবং গ্রামবাসীর সম্মতিক্রমে দায়িত্বে রয়েছি। আমরা সকলে মিলে নির্বাচিত স্থানে মসজিদ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। এ সময় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা মসজিদ নির্মাণের জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম, হযরত আলী, আব্দুল লতিফ, রোজিনা আক্তার, আব্দুর বারেকসহ গ্রামের অসংখ্য মানুষ।