

মোঃ আজগর আলী, চট্টগ্রাম
হৃদয়ে রক্তক্ষরণের দিন আজ,শহীদ মাওলানা শিহাব উদ্দিন নিজামীকে স্মরণ করছি-রক্তে রাঙানো ৫ মে ২০১৩, হৃদয়ে রক্তক্ষরণের দিন। পবিত্র খুনে লাল হয়েছিলো শাপলা চত্বর । রক্তে রঞ্জিত হয়েছিলো শাপলার পিচ ডালা রাস্তা। শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেছিলেন বহু তাহাজ্জুদরত নবীপ্রেমিক। তাদের মধ্যে একজন মিরসরাইয়ের বরেণ্য আলেমেদ্বীন, বগাচতর ফাজিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শিহাব উদ্দিন নিজামী।প্রিয় মানুষটি বিদায়ের আজ এক যুগ পূর্ণ হলো। আল্লাহ্ তাঁর শাহাদাতের তামান্নাকেই কবুল করে নিয়েছেন সেদিন। হয়তো জীবনের পরিণত বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। কিন্তু মন হৃদয় যেন অসহ্য এক ব্যথায় ডুকরে উঠে। কিন্তু আল্লাহর অমীয় সত্য বিধান “মৃত্যু”। মরণ তো মুমিদের জন্য কোনো বেদনার দুঃসংবাদ নয়। মৃত্যু হচ্ছে মুমিনদের আল্লাহর কাছে যাওয়ার তোহফা।
আল্লাহর কাছে মিলিত হওয়ার চিঠি। সে মৃত্যু যদি শাহাদাতের হয়, মনিবের কাছে আর কি চাওয়ার আছে, কিন্তু শাহাদাতের মৃত্যু কয়জনের সৌভাগ্যে জুটে!শহীদ মাওলানা শিহাব উদ্দিন নিজামী ছিলেন একজন দক্ষ শিক্ষক, মানুষ গড়ার এক দক্ষ কারিগর। তিনি নিজেই শুধু একজন আলিম ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন শতশত আলিমের শিক্ষক ‘ ‘ওস্তাজুল আসাতিজা’। তিনি ছিলেন ইসলামি আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ একজন স্বপ্ন দ্রষ্টা রাহবার, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর একজন যোগ্য সংগঠক ও অভিভাবক।তার জীবন ও কর্ম, বিচক্ষণতা, ইসলামি আন্দোলনের পথে ত্যাগ-কুরবানি, হক্বের উপর অবিচলতা ও শাহাদাতের তামান্নায় সুদৃঢ় মনোবল ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের অনুপ্রেরণা যোগাবে যুগ থেকে যুগান্তরে ইনশা-আল্লাহ্।হে আল্লাহ্! গাফুরুর রাহীম! শহীদ মাওলানা শিহাব উদ্দিন নিজামীর সকল দ্বীনী খেদমত বহুগুণে বাড়িয়ে কবুল করে নিন, তাকে মাফ করে মাসুম বান্দাহ্ হিসেবে কবুল করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে আ’লা মকান দান করুন। পরিবার পরিজনকে হায়াতে তাইয়্যিবাহ্ নসীব করুন। আমিন।