

মো : সজিবুর রহমান (নায়েক)
তারিখ ৫/৫/২৫ ইং
জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এক আলোচনা সভায় আত্মপ্রকাশ করে “জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ।”জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ” বাংলাদেশের কাঙ্খিত আগামীর “জাতীয় সরকার” এর রূপরেখার উপর আলোচনা সভা ও “জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ” এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে মতামত প্রকাশের মাধ্যমে “জাতীয় সরকার” এর পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়নে ভূমিকা রাখতে সাবলীল উপস্থিতি ও আলোচনায় অংশগ্রহণ একান্তভাবে কাম্য করে আলোচনা সভার আয়োজন করে।আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন :প্রধান অতিথি হিসেবে : জনাব ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার প্রধান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ।বিশেষ অতিথি হিসেবে : জনাব ড. হাসনান আহমেদ, কলামিস্ট ও শিক্ষাবিদ, জনাব এস. এম ফরমানুল ইসলাম, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট, ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী, চেয়ারম্যান, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যায়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মোঃ আলমগীর, নির্বাহী পরিচালক, অপকা, মোঃ তারিকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, আলমগীর হোসেন, ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, আরো অনেকেই। জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ-২০২৫”জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ” এর আত্মপ্রকাশ ও “জাতীয় সরকার” এর আলোচনা সভার কার্যবিবরণী :অতিথিদের আসন গ্রহণ,”জাতীয় সরকার” এর সংক্ষিপ্ত রূপরেখা ,উপস্থাপন,উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের “জাতীয় সরকার” বিষয়ে মতামত প্রকাশ ও,আলোচনা,অতিথিদের বক্তব্য,অংশগ্রহণকারীদের আলোচনার খসড়া প্রস্তুতকরণ ও প্রকাশ করা ,সভাপতি সমাপনি বক্তব্য।প্রকাশ্যে এলো “জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ”তারিখ ৫/৫/২৫ ইং জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় যে যে বিষয় গুলো আলোচনায় ছিলো তা হলো: “জাতীয় সরকার” এর সংক্ষিপ্ত রূপরেখা।যা ব্যখ্যা করেন মোঃ নাজিমুল হক, আহ্বায়ক “জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ”।
জাতীয় সরকার কি এবং কেন?
জাতীয় সরকার হল সেই সরকার ব্যবস্থা যেখানে একটি দেশের ও জাতির কল্যাণকর রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থার ঐক্যবদ্ধ ও সমবেত সরকার গঠন ও এর সুশাসনের নিশ্চিৎ প্রতিফলন। যেখানে জনগণের ইতিবাচক, কল্যাণকর সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এর ফল জনগন উপভোগ করবে। এখানে শাসক কখনো শোষক হবেনা। শাসক সবসময় জনগনের দ্বারা মনোনীত ও জনগনের সদিচ্ছার প্রতিফলনকারী হবেন। এখানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পরিচালন নিশ্চিৎ হবে তথা জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
জাতীয় সরকার কিভাবে হবে?
জুলাই বিপ্লবের/গণঅভুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে আরো শক্তিশালী কার্য্যকর ও গতিশীল করতে এ সরকারের কলেবর, যুক্তিক বৃদ্ধি সাধন ও মৌলিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করণের ন্যায্য কল্যাণকর রাষ্ট্র পরিচালননীতি অনুসরণের (সাংবিধানিক ধারা প্রবর্তন করা) মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বের মধ্য হতে ন্যায় দন্ডে মান উত্তীর্ণ হয়েছেন এমন সর্বজন স্বীকৃত সত্যিকার ভালো মানুষ দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব যাচাই-বাছাই এর মাধ্যমে আদর্শ জনপ্রতিনিধি, সমাজবিদ, পেশাজীবি ব্যক্তিদের নিয়ে আগামী ৪/৫ বছরের জন্য জনকল্যাণ মূলক সরকার গঠন করা। এখানে থাকবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিনিধীর সাথে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের আদর্শিক মানদন্ডে উত্তীর্ণ নেতৃত্ব অংশগ্রহণের মাধ্যমে কল্যাণকর, গঠনমূলক ইতিবাচক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সরকার গঠিত হবে।
কেন করবেনঃ-বর্তমানে দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটি ক্রান্তিকাল চলছে। এমতাবস্থায় দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সংকট তৈরী হয়েছে। যা হতে জাতিকে রক্ষা করতে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আগামী দিনের সুষ্ঠ ও সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ বিনির্মানে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদ ২০২৪ কাজ করবে। জাতীয় ঐক্যের ভিভিতে দেশে গ্রহণ যোগ্য ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা।
কি করবেনঃ-স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে দেশ প্রেমিক সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা।
সামাজিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, দূরীকরণ ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত করনে কাজ করা।
দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কাজ করা।
দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন দূর্নীতিগ্রস্থ অবস্থা হইতে পরিত্রাণের ব্যবস্থা করা।
নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার, গণতন্ত্র, মৌলিক ন্যায় বিচারসহ মানবিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে কাজ করা। জনগণ দ্বারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পায়।নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কর্তৃক দেশ পরিচালনায় দেশ ও জনগণের বিরোধী কাজ না করতে পারে। সেজন্য তাদের জবাব দিহীতা নিশ্চিত করা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত করা।
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াঃ- আহবায়ক কমিটি গঠন,
জাতীয় প্রেসক্লাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সিভিল সোসাইটি, সাংবাদিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে মতবিনিময় ও পরিষদের আত্মপ্রকাশ। মূল কমিটি গঠন ।কেন্দ্রিয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কর্মসূচী প্রণয়ণ। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নিয়মিত গোল টেবিল, গণমতামত, গণমাধ্যমে মতামত গ্রহণ সহ জনগণের গণ অংশ গ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াসহ সকল মিডিয়ায় প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা করা।