

মোঃ সজিবুর রহমান (নায়েক)
গত ৫/৫/২৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট এর উদ্যোগে ৫ মে হেফাজতের উপর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নৃশংসতম গণহত্যা দিবস উপলক্ষে“গণহত্যার বিচার, সংলাপ, সংস্কার ও আগামী নির্বাচন” -শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিতহয় । আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে: বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, বিএনপি।প্রধান আলোচক হিসেবে: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, বিএনপি।
সভাপতি : হুমায়ুন কবির বেপারী সমন্বয়কারী, বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট।সঞ্চালনায় : কালাম ফয়েজী সভাপতি, প্রজন্ম একাডেমি।বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলা ও লেখা সবচেয়ে নিরাপদ। আজ সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি কখনোই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, যার ফলে অনেকেই মনে করেন বিএনপির বিরুদ্ধে বলা ও লেখা সবচেয়ে নিরাপদ। আগে সাংবাদিকরা বলতেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যেত না, কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা হতো।’গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আদালত এখন আমাদের সেকেন্ড হোম হয়ে গেছে। আমাদের প্রায়ই কোর্টে যেতে হয়। প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও অনেক মামলা ছিল, আমরা তখন তার পক্ষে প্রতিবাদ করেছিলাম। এখন তিনি সব মামলা প্রত্যাহার করে চেয়ারে বসে আছেন, অথচ আমি গয়েশ্বর এখনো কোর্টে হাজিরা কেন দিচ্ছি?’সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নয় বলে মনে করেন গায়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের প্রকৃত স্বাধীনতা মালিক ও প্রকাশকের। কিছু মিডিয়ার মালিক সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে চলেন, ফলে তারা সরকারের বিরুদ্ধে নিউজ করে না। আবার অনেক মিডিয়ার অর্থের অভাব না থাকলেও সাংবাদিকদের ঠিকমতো বেতন দেওয়া হয় না।’নির্বাচন প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘৫ আগস্ট যদি হাসিনা পালিয়ে পদত্যাগ না করতেন, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতো। এখন নির্বাচন কমিশনের দেড়-দুই বছর লাগছে কেন? আমরা কীসের প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা করছি?।’আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারী এবং প্রজন্ম অ্যাকাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী প্রমুখ।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, অনেক মিডিয়ার মালিক সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে, ফলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো নিউজ করে না। অনেক মিডিয়ার পয়সার অভাব নেই, কিন্তু সাংবাদিকদের ঠিকমতো বেতন দেয় না।সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট কর্তৃক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।গয়েম্বর চন্দ্র বলেন, বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি। এর ফলে যে সুবিধাটা হয়েছে, অনেকেই ভেবে নিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে লেখা ও বলা সবচেয়ে নিরাপদ। সাংবাদিকরা আগে বলতো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাই। তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যেত না, কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা হতো। তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নয়। সংবাদপত্রের মালিক বা প্রকাশকের স্বাধীনতাই মূল স্বাধীনতা।
এ সময় বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, কোর্ট আমাদের সেকেন্ড হোম হয়ে গেছে। প্রায়ই সেখানে যেতে হয়। আজকের প্রধান উপদেষ্টার ওপরেও অনেক মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমরা কিন্তু তার প্রতিবাদ করেছিলাম। এখন তিনি তার বিরুদ্ধের সব মামলা প্রত্যাহার করে চেয়ারে বসেছেন, অথচ আমি গয়েশ্বর কেন এখনো কোর্টে হাজিরা দিই?তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট যদি হাসিনা না পালিয়ে পদত্যাগ করতেন, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া লাগতো। তাহলে এখন নির্বাচন কমিশনের দেড় দুই বছর সময় লাগছে কেন? আমরা এখন নির্বাচন কমিশনের কিসের প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা করছি?
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারী, প্রজন্ম অ্যাকাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী প্রমুখ ,মুহাম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে গয়েশ্বর বলেন, “আজ যিনি দায়িত্বে আছেন; প্রধান উপদেষ্টা; মান্যবর; উনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এ ধরনের। কোর্টে গেলে যে ধরনের আচরণের মুখোমুখি হয়েছেন, আমরা সবাই তার নিন্দা করেছি, প্রতিবাদ করেছি। উনি তো সব মামলায় অব্যাহতি নিয়া ফালাইলেন, শপথ নিয়া দেশের প্রধান উপদেষ্টা হইলেন।“আমি গয়েশ্বর রায় কেন কোর্টে হাজিরা দেই? আমাদের কি কোনো অবদান নাই। আমরা মরি নাই, বেঁচে আছি- এটাই কি আমাদের সবার প্রাপ্তি।”২০১৩ সালে ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘গণহত্যার বিচার, সংলাপ, সংস্কার ও আগামী নির্বাচন’ শিরোনামে এ আলোচনা সভা হয়। আয়োজক ছিল বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট।
সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে দেশের নির্বাচন, ক্ষমতার পালাবদল ও নির্বাচন কমিশনের প্রসঙ্গও তোলেন গয়েশ্বর।তিনি বলেন, “ক্ষমতার চেয়ারটার একটা মায়া আছে। একবার বসলে উঠতে মন চায় না, ছাড়তে মন চায় না। কেউ কেউ বলছেন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি। ধরেন ৫ অগাস্ট যদি শেখ হাসিনা না পালাতেন, স্বাভাবিকভাবে যদি পদত্যাগ করতেন, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হত, তাহলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার নিয়ম আছে না। তাহলে নির্বাচন কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করত।”তিনি বলেন, ‘‘ আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে মাত্র ৮০ দিনের মাথায় দায়িত্ব অর্পণ করে চলে আসলেন। পরে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে না?“তাহলে এখন নির্বাচন কমিশনের দেড়-দুই বছর সময় লাগছে কেন? তাদেরকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, এটাই নিয়ম। তাহলে কীসের প্রস্তুতির জন্য এত সময়, আমি এটা তো বুঝতেছি না।”আওয়ামী লীগের ‘দোসরদের’ বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গয়েশ্বর।‘সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি। তাতে একটা সুবিধা আছে- বিএনপির বিরুদ্ধে কিছু করলেও কিছু হয় না। সেই কারণে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ বিএনপির বিরুদ্ধে লেখা ও বলা।”
তিনি বলেন, “যারা সোশ্যাল মিডিয়ায়, তারা স্বাধীন। আর যারা বিভিন্ন মিডিয়ায় কিংবা টেলিভিশনে কর্মরত, তারা যা দেখে, সব প্রকাশ করতে পারে না। যা শোনে, তা সব বলে না।“কেন? কারণ যারাই ক্ষমতায় থাকে অপকর্মগুলো চাপা দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করে। অনেক মিডিয়ায় পয়সার অভাব নাই। গিয়ে দেখেন সাংবাদিকদের বেতন দেয় না। সেজন্য আমি বলব, আমাদের স্লোগানটা হোক সাংবাদিকদের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের মালিক সাংবাদিক নয়।”
বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে এবং প্রজন্ম অ্যাকাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সংস্কারের গান শুনিয়ে আমাদের ঘুম পাড়িয়ে রাখবেন, আর নির্বাচনের কথা বললে আমাদের অপরাধ হবে? একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ১৭ বছর ধরে অপরাধ করে আসছি। যতদিন নির্বাচন না হবে, ততদিন বিএনপি এই অপরাধ করবেই।সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট কর্তৃক আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, সংলাপ, সংস্কার ও আগামী নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য একেক সময় একেকটা ইস্যু তৈরি করেছে।১৬ বছরে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াইশো ইস্যু তৈরি করেছে। সকালে একটা ঘটনা তৈরি করলো হৈচৈ পড়ে গেল, বিকেলে আরেকটা ঘটনা দিয়ে সেটা চাপা পড়ে গেল।একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। আর যারা সমালোচনায় অভ্যস্ত তারা কোনো কর্মে অভ্যস্ত না।তারা সমালোচনায় খুব পটু; তখন বলতো বিএনপি কী করে। তারা আসল ঘটনা থেকে দূরে রাখার জন্যই একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। আজ যারা আছে তারা কী সেটা অবলম্বন করতে পারে না? এজন্যই হঠাৎ করে একটা ইস্যু এসে গেছে সীমান্তে আরাকানের। আবার বলে না, বিষয়টা চূড়ান্ত না। তবে ভেতরে কিন্তু একটা আলোচনা আছে, ইচ্ছা আছে। তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট যদি হাসিনা না পালিয়ে পদত্যাগ করতো, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া লাগতো। তাহলে এখন নির্বাচন কমিশনের দেড় দুই বছর সময় লাগছে কেন? তাদের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে এটাই নিয়ম। তাহলে কী প্রত্যেকটা সরকার পরিবর্তনের পর আমরা দুই বছর বসে থাকবো প্রস্তুতির জন্য? নির্বাচন কমিশনের কীসের প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা করছি?গয়েশ্বর বলেন, আগে নির্বাচন পরে সংস্কার। আর নির্বাচনটাই তো বড় সংস্কার। কারণ চারটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে যা তা অবস্থা করে দিছে। সেখানে দাবিটা কী সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন। যার যার ভোট যে যে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। নিরাপদে দেবে। এই নির্বাচন ব্যবস্থার এটাইতো বড় সংস্কার। সুতরাং গণতন্ত্রতো সংস্কারের বিপক্ষে না। বরং একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে অন্যান্য সংস্কারগুলো করতে আমাদের একটি ভিত্তি স্থাপন হবে। তিনি আরও বলেন, সংস্কার অবশ্যই দরকার। কিন্তু বাস্তবতার নিরীক্ষেই আপনাদের সেটা করতে হবে। সময় নেই কিন্তু সংস্কার করতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না যেটা শেষ পর্যন্ত হবেই না।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেনি। এর ফলে যে সুবিধাটা হয়েছে, অনেকেই ভেবে নিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে লেখা ও বলা সবচেয়ে নিরাপদ। সাংবাদিকরা আগে বলতো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যেত না, কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে নানা কথা লেখা হতো। তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মানেই সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নয়। সংবাদপত্রের মালিক বা প্রকাশকের স্বাধীনতাই মূল স্বাধীনতা।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারী, প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী প্রমুখ।