জুন ২০, ২০২৫
Home » জুলাই বিপ্লবী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

এস এম আরমান উদ্দিন, মানবাধিকার প্রতিদিন 

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যখন যেভাবেই ইচ্ছে সেভাবে পদচারনা করার যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিই হচ্ছে বাংলাদেশের মাননীয় Chief Adviser GOB ।
জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সর্ব মহলের সমর্থন প্রাপ্ত একটি শক্তিশালী সরকারের প্রধান হচ্ছেন ডক্টর Muhammad Yunus ।
উনার সরকারের শক্তিশালী অবস্থান, রাজনৈতিক দল গুলোর সেই পুরনো অপরাজনীতি, চাঁদাবাজী, দখলবাজী, টেন্ডারবাজী সহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ভিত তছনছ করে দিচ্ছে।
এতেই মনে হয় ক্ষিপ্ত হয়ে রাজনীতিবিদদের সর্বদলীয় স্বীকৃত হওয়ার পরেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে বস্ত্রহীন সমালোচনা সহ হুমকি-ধামকী দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
এখন মনে করতেছে খাল কেটে তারা কুমির নিয়ে এসেছিল।
এখন রাজনীতিবিদরা সেই পুরনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হিংসাত্মক ও ভিত্তিহীন সমালোচনা করে মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়ে যাচ্ছেন।
হয়তো রাজনীতিবিদরা ভূলে গিয়েছেন যে, এখন তাহারা আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সম্বলিত তরুণ প্রজন্মের যোগেই রাজনীতি করতেছেন।
অন্যদিকে বর্তমান তরুণ প্রজন্মই আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্রজন্ম বলে বহু ভাবেই স্বীকৃত ।
যেই প্রজন্ম, তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় সকল রাজনীতিবিদদের আলোচনা-সমালোচনা ও সকাল-বিকাল মিথ্যা প্রোপাগান্ডা সহ অযৌক্তিক দাবী সমূহ অন রেকর্ড পর্যালোচনা করে সত্য-মিথ্যার মুখোশ উন্মোচন করে সর্ব সাধারণের কাছে তোলে ধরতে সক্ষম।
আর এখনকার জনগণ ও বিগত ২০/৩০ বছর পূর্বের জনগণের চেয়ে হাজার গুণ সচেতনতা ও দায়িত্ব জ্ঞান সম্মত।
অন্যদিকে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বেই সর্ব সাধারণের অংশীদারিত্বে সংঘটিত হয়েছিল জুলাই-আগষ্টের সেই ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থান।
যদিও পরবর্তীতে রাজনৈতিক দল গুলো শহীদদেরকে যার যার দলীয় কর্মী দাবী করে জুলাই-আগষ্টের অর্জনকে হাইজ্যাক করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু এতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান তরুণ প্রজন্ম।
বর্তমানে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ রাজনীতি ছাড়া কোন বিকল্প রাজনীতি দিয়ে বর্তমান প্রজন্মের কাছে দাদাগিরী দেখানো এতো সহজ ভাবার কোন সুযোগ অবশিষ্ট নেই।
অতএব সবাই বর্তমান তরুণ প্রজন্মের শক্তিমত্বা তথা বৈশ্বিক স্বীকৃত সত্যকে মেনে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করুন, এবং সংস্কার ও স্বৈরাচারের বিচার কার্য শেষ করে উপযুক্ত সময়ে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও জন বান্ধব একটি নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সহযোগিতা করুন।
অন্যথায় আমও যাবে, আমের বস্তাও যাবে।
ক্ষমতার স্বাদতো দূরের কথা, গন্ধও পাওয়া যাবে না।
কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন একজন পলিসি মেকার, উনার পলিসি সর্বোচ্চ সুযোগ থাকার পরেও স্বদেশে সফল না হলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উনার যথেষ্ঠ মান ক্ষুন্ন হওয়ার সুযোগ তৈরী হবে। এবং তিনি শেষ বয়সে কক্ষনো কোন অবস্থাতেই উনার মান ক্ষুন্ন হতে দিবেন না, যাহা দিবালোকের মত সুস্পষ্ট ।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *