
চাটমোহর (পাবনা)প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহরে পারিবারিক অশান্তি আর মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেই ৫ মাসের শিশুকন্যাকে হত্যা করেন পাষন্ড মা শ্রাবন্তী মন্ডল। শ্রাবন্তী মন্ডল নিজেও বাল্যবিয়ের শিকার। তার বর্তমান বয়স ১৫ বছর ৮ মাস। স্বামীর ২য় স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে এসে নানাভাবে অশান্তিতে পড়েন তিনি। এরপর শিশুকন্যা সোহাগীর কান্নাকাটি তাকে আরো বিরক্ত করে তোলে। একারণেই ঘুমন্ত শিশুকন্যা সোহাগীকে নিয়ে বাড়ির পাশের বড়াল নদীর পানিতে ফেলে হত্যা করেন।
সোমবার (২ জুন) সকাল ১০টায় চাটমোহর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হত্যাকান্ডের বিস্তারিত তুলে ধরে একথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আকতার।তিনি জানান, আপন মা শ্রবন্তী রানী মন্ডল শিশু সন্তানকে হত্যা করেছেন। প্রেসব্রিফিংয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনজুরুল আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসব্রিফিয় বলা হয়,নিহত সোহাগী মন্ডল উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর মন্ডলপাড়া গ্রামের কমল মন্ডলের মেয়ে। গত শনিবার (৩১ মে) সকাল ৬টার দিকে সবার অগোচরে মা শ্রাবন্তী মন্ডল তার ঘুমন্ত শিশুকন্যা সোহাগীকে নিয়ে বাড়ির অদূরে বড়াল নদীর পানিতে ফেলে দিয়ে আসেন। বাড়ি এসে সে জানায়,তার মেয়েকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা। এরপর খোঁজাখুজি শুরু হয়। সকাল ৮টার দিকে বাড়ির অদূরে বড়াল নদী থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মা শ্রাবন্তী মন্ডল (১৬) কে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শ্রাবন্তী পুলিশের কাছে স্বীকার করেন সে তার শিশুকন্যাকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ির পাশের নদীতে ফেলে দেয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হন্তারক মা শ্রাবন্তী মন্ডলকে গত রবিবার (১ জুন) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রেসব্রিফিংয়ে জানানো হয়,শ্রাবন্তী আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটার পরই পাবনার পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় পুলিশ কাজ শুরু করে। মাত্র ৫ ঘন্টার মধ্যেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করাসহ ঘাতক মাকে গ্রেপ্তার করে চাটমোহরথানা পুলিশ।