জুলাই ১২, ২০২৫
Home » পবিত্র হজ পালন করে সহধর্মণীসহ দেশে ফিরেছেন নীলফামারীর বিএনপির সাবেক এমপি তুহিন
মোঃ ইমরান ইসলাম,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
পবিত্র হজ পালন করে স্ত্রীসহ দেশে ফিরেছেন নীলফামারী–১ ডোমার ডিমলা আসনের বিএনপির সাবেক এমপি ও নীলফামারীর বিএনপির নেতা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খালেদা জিয়ার ভাগ্নে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
বিএনপির সূত্রে জানা যায়, পবিত্র হজ্ব পালন করে স্ত্রীসহ আজ ১৫/৬/২০২৫ ইং রোজ রবিবার সকালে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সহধর্মণীসহ অবতরণ করেন তিনি। শাহরিন ইসলাম তুহিন পবিত্র হজ্ব পালন করে দেশে আসায় নীলফামারীসহ ডোমার-ডিমলার বিএনপির নেতাকর্মীরা বরণ করে নেন তাঁকে।
২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তুহিন দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ও পরে যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। তৎকালীন সেনাশাসন এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে ফিরতে চাইলেও রাজনৈতিক বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এমনকি একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তও হন তিনি, যেগুলো বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি অনুযায়ী ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা মামলা’ বলে বিবেচিত হয়।
তুহিনের প্রত্যাবর্তনে ডোমার-ডিমলা অঞ্চলে বইছে আনন্দের জোয়ার। নেতাকর্মীরা বলছেন, তুহিন ভাই ছিলেন এলাকার উন্নয়নের প্রধান কারিগর। তার হাত ধরে কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ, বাধ নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন উন্নয়ন ও বেকারত্ব নিরসনে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়। ডিমলা উপজেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, “তুহিন ভাই আমাদের অভিভাবক। তার নামে যে সকল মামলা রয়েছে, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে আপিল করবেন। ইনশাআল্লাহ তিনি ন্যায়বিচার পাবেন এবং সব মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি লাভ করবেন।”
তুহিনের দেশে ফেরার পর, তার নামে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নীলফামারীসহ ডোমার ও ডিমলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে মুক্তি দিতে।
তুহিনের দেশে ফেরার পর, তার পক্ষে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, তার নেতৃত্বে নীলফামারী জেলায় রাজনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসবে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *