জুলাই ১২, ২০২৫
Home » গাড়াগ্রাম থাইগেম ও ভিশা চক্রের লিডার মাছের পোনা বিক্রি করা সফিকুল এখন কোটি টাকার মালিক

সোহান মিয়া ,কিশোরগঞ্জ নীলফামারী

এক বছর আগে যার নুন আনতে পান্তা ফুরা অবস্থা ছিল,সাইকেলে ফেরি করে পোনা মাছের ব্যবসা করে কোন রকম জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতো, সেই সফিকুল এখন কোটি টাকার মালিক চড়ে বেড়ান সুজুকী এসএফ মডেলের গাড়ীতে যার মুল্য ৩ লক্ষাধিক টাকা এবং রাতারাতি বানিয়ে ফেললো বিলাস বহুল বাড়ি। এতো অল্প সময়ে কোথায় পেল সেই আলাদিনের চেরাগ এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে প্রায় এক বছর আগে কিশোরগঞ্জ উপজেলার থাইগেম ও ভিসা চক্রের রাজধানী নিতাই ইউনিয়নের লাল বাদশা মিয়ার ছেলে সাগর মিয়ার সাথে সাফিকুল ইসলামের মেয়ে সোহানা আক্তারের বিয়ে দেন। সেই সুবাদে মেয়ের বাড়িতে যাতায়াত করতো সফিকুল ইসলাম। তার বিয়াই লাল বাদশা ছিল থাইগেম ও ভিসা চক্রের সক্রিয় সদস্য সেখান থেকে হাতেখড়ি নেন সফিকুল। এক পর্যায়ে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে থাইগেম ও ভিশা চক্রের রাজাত্ব কায়েম শুরু করেন।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম মন্ডল পাড়া গ্রামের মৃত জমুদ্দি মামুদের ছেলে সফিকুল ইসলাম তার বাবার রেখে যাওয়া ভিটে মাটি ছাড়া আর কিছুই ছিল না, মৃত জমুদ্দি মামুদ নিজেও পেশায় একজন ক্ষুদ্র কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছিলেন। নাম প্রকাশ্যে অনইচ্ছুক ওই এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির সাথে কথা হলে তেনারা বলেন কিছুদিন আগেও সফিকুল ইসলাম সাইকেলে ফেরি করে পোনা মাছ বিক্রি করে কোন রকম জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছিল। অভাবের তারনায় শেষ সস্বল ছিল একটি মটরবাইক সেটি বন্ধক রেখে নাবালক মেয়ে সোহানাকে অল্প বয়সে বিয়ে দেন। সেই সফিকুল হঠাৎ করে বনেযান কোটি টাকার মালিক ফলে পরিবর্তন আসে তার চলাফেরায় রাতারাতি হয়ে যায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। উল্লেখ্য যে থাইগেম ও ভিশা চক্রের লিডার সফিকুলের প্রধানসহযোগি একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া তারা দুজন মিলে থাইগেম ও ভিশা প্রতারণা করে বাংলাদেশী প্রবাসীদের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সে এতো পরিমান ত্রাস  তার ভয়ে মুখ খুলতে চায় না  এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে সফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি থাইগেম ও ভিশা চক্রের সাথে জড়িত বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে একাধিবার কথা বলার চেষ্টা করলে ফোন রিসির্ভ হয়নি।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *