জুলাই ৮, ২০২৫
Home » ময়মনসিংহে তিতাস গ্যাস অফিসের অবহেলায় গোয়াইলকান্দি বাসিন্দার চরম দুর্ভোগ, এ যেনো মরন ফাঁদ!

এস এম নাছির উদ্দীন (ক্রাইম রিপোর্টার)

ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির কারণে জনজীবন চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কোথাও গ্যাস লিকেজ, কোথাও দীর্ঘদিন গ্যাস সংযোগ বন্ধ, আবার কোথাও খোঁড়াখুঁড়ির পর রাস্তা ফেলে রাখায় ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ— এ যেনো এক ‘মরণ ফাঁদ’ তৈরি হয়েছে শহরের বুকে।

বিশেষ করে গোয়াইলকান্দি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের মোড়ে, সামনে গন্দ্রপা যাওয়ার রাস্তায় দীর্ঘ বছর যাবৎ পাইপ লিকেজ হয়ে পরে থাকার কারনে জনজীবন চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, মাসের পর মাস ধরে গ্যাস পাইপ লিকেজ হয়ে গ্যাস বাহির হচ্ছে অনবরত , অথচ তিতাস কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গ্যাস না থাকলেও বিল ঠিকই আদায় করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ করেছেন অনেক গ্রাহক।

একজন ভুক্তভোগী জানান, “রান্নার গ্যাস না থাকায় আমাদের পরিবার প্রতিদিন খাবার তৈরিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বারবার অভিযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি। টাকাটা ঠিকই নিচ্ছে, কিন্তু সেবা কোথায়?”

আরেকজন বলেন, “রাস্তার পাশে গ্যাস পাইপ লিকেজ দিন রাত অনবরত গ্যাস বাহির হচ্ছে।  রাতে চলাফেরা করাই দুঃসাধ্য— যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।”

তিতাস গ্যাস অফিসে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও সমাধান না পেয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অনেকে সরাসরি বলছেন, এই অবহেলা আর দায়িত্বহীনতা এখন প্রাণনাশের কারণ হয়ে উঠছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ময়মনসিংহ তিতাসগ্যাস অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, “লোকবল সংকট ও পুরনো অবকাঠামোর কারণে কাজের গতি ব্যাহত হচ্ছে, তবে আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।”

তবে স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, “চেষ্টা” শব্দটি আর শুনতে ভালো লাগে না। মানুষ কাজ দেখতে চায়। অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরাও।

তিতাস গ্যাসের এই অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতি যদি দ্রুত সমাধান না করা হয়, তাহলে ময়মনসিংহের নাগরিকদের শুধু ভোগান্তি নয়, প্রাণহানির মতো মারাত্মক পরিণতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *