

নুরুল আলম ,টেকনাফ ,কক্সবাজার ,বিশেষ প্রতিনিধি
কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলা সীমান্ত সংলগ্ন নাফ নদীতে জেলের বেশে মাদক পাচারের সময় টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) বিশেষ অভিযানে দুই মিয়ানমার নাগরিক আটক ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দ।বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, আজ ১৮ জুন ২০২৫ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ অভিযানে দুই বিদেশি নাগরিক আটক এবং ১,২০,০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ সাফল্য বিজিবির মাদকবিরোধী অঙ্গীকারের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ।
সম্প্রতি, নাফ নদীতে মাছ ধরার অজুহাতে মাদক পাচারের প্রবণতা বেড়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও বিজিবি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তৎপর থেকে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, আজ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মিয়ানমার হতে কিছু ব্যক্তি মাছ ধরার ছদ্মবেশে নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশের জেলের বেশে অবস্থানরত দোসরদের কাছে বিপুল পরিমান মাদক হস্তান্তরের চেষ্টা করবে। পরিস্থিতির বিবেচনায় অধিনায়ক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন তাৎক্ষণিকভাবে নদী ও তীরবর্তী বেশকিছু কৌশলগত স্থানে দ্রুত বিশেষ টহল মোতায়েন করেন। এরপর, আনুমানিক ১১০০ ঘটিকায় নদীতে একটি নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবি’র চৌকষ নৌ টহল দলগুলো তড়িৎ গতিতে তাদের পিছু ধাওয়া করে। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলেও বাংলাদেশের জলসীমার আনুমানিক ১০০ গজ ভেতরে বিজিবির আভিযানিক দল পলায়নরত নৌকাটি মায়ানমারের দুইজন নাগরিকসহ আটক করে। পরবর্তীতে, বিজিবি তল্লাশি করে নৌকার পাটাতনের নিচে জালের ভেতর লুকানো বিশেষভাবে মোড়কজাত ১,২০,০০০ পিস ইয়াবা জব্দ করে।অভিযানে আটককৃত মায়ানমারের নাগরিকরা হলো—
মোঃ জুবায়ের (২০), পিতা-মোঃ ইলিয়াস, সাং-ডেইলপাড়া, থানা-মংডু, জেলা-মংডু, মায়ানমার।
নুরুল আমিন (২২), পিতা-মৃত ইসলাম, সাং-ডেইলপাড়া, থানা-মংডু, জেলা-মংডু, মায়ানমার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, তারা ইয়াবার চালানটি মায়ানমার হতে এনে নদীতে মাছ ধরার অজুহাতে অপেক্ষমাণ বাংলাদেশি সহযোগীদের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা করেছিল। ঘটনার সাথে জড়িত বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এই বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করে জানান লেঃ কর্ণেল আশিকুর রহমান পিএসসি অধিনায়ক টেকনাফ ব্যাটালিয়ম(২বিজিবি
বিজিবি সীমান্ত এলাকায় সকল অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।