জুলাই ৮, ২০২৫
Home » রামগঞ্জ আশ্রয় প্রকল্প ঘর গুলা হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ জায়গা
1000015275
মোঃ হাসান হাওলাদার কমল নগর উপজেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর জেলার ভিতরে, ৫টি উপজেলা আছে প্রত্যেকটা উপজেলার একই অবস্থা, রায়পুর লক্ষ্মীপুর সদর রামগতি কমলনগর, রামগঞ্জ,,  রামগঞ্জে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য অশ্রয়ণের ঘরে উপকারভোগীরা না থাকায় মাদকসেবীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে রাজনীতিক প্রভাব ও যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই না করায় যাদের নিজস্ব বাড়ি ও জমিজমা রয়েছে, এ ধরনের বেশীভাগ বাক্তিরা ঘরগুলো বরাদ্দ পায়। বরাদ্দপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রায় ৬০ভাগ ব্যাক্তি ঘরগুলোতে থাকছেন না। এ সুযোগে ফাঁকা ঘরগুলোতে মাদকসেবীসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিকট থেকে চুক্তিভিত্তিক ভাড়ায় নিয়েছেন।
 সরেজমিনে গিয়ে এ সব আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যক্তির সাথে কথা বললে তাঁরা এ তথ্য দেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় রামগঞ্জে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ম থেকে ৩য় পর্যায়ে ১০টি স্থানে মোট ৩১৫টি ঘর নির্মান করা হয়। ঘর বরাদ্দের প্রধান শর্ত গৃহহীন ও তুমিহীন  হতে হবে। উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি নীতিমালা অনুযায়ী ঘর বরাদ্দের জন্য উপকারভোগী তালিকা করেন। প্রতিটি ঘরে নির্মানে ব্যায় হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যে ২শতক জমির দলিলসহ ঘরগুল্যে বরাদ্দপ্রাপ্তদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৪নং ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের অভয়ণ প্রকল্পে বরাদগ্রস্তদের মধ্য থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাসিন্দা জানান, এই প্রকল্পে মোট ১৪টি ঘর আছে। এদের মধ্যে বরাদ্দপ্রায় ৪৩ জন বসবাস করেন। বাকী ৫১ জন নিজেরা বসবাস করেন না। অনেকে ঘর ভাড়া দিয়েছেন। ১০ থেকে ১২টি ঘর খালি আছে। তারা আরো জানান, ঘরগুলো বরাদ্দ বুঝিয়ে দেওয়ার পর প্রশাসনের কেউ খোজখবর নেন না। ঘর ভাড়া নেওয়া কয়েকজন বাসিন্দাসহ বাহির থেকে সন্ত্রাসী, মাদকসেবী, জুয়াড়ী নিয়মিত আসা যাওয়া করে। প্রতিদিন জুয়া, মাদকসেবনের আসর বসে। কেউ কিছু বললে তাদেরকে হুমকি ধমকী দিচ্ছে, এ জন্য ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।
এভাবে উপজেলার বিভিন্ন অশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র। প্রকৃত সুবিধা ভোগীরা ঘর বরাদ্ধ পায়নি। পেয়েছেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের পছন্দের লোকজন। তাদের বরাদ্দ বাতিল করে নতুনভাবে স্থানীয় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী করেন। এ ছাড়াও মাদকসেবীদের অপকর্মে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াও দারী জানান।
রামগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, মাদক বসে এমন স্থানে পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। খোজখবর নিয়ে আশায়ণ প্রকল্প গুলেতে শীগ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ মোহাম্মদ রবিন শীষ জানান, বরাদ্দ পাওয়ার পরও যারা ঘরে থাকছেন না, তাদের দলিল বাতিল করে নতুনদের বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও রাস্তা, ঘাটসহ যে সকল সমস্যা আছে তা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *