
মোঃ হাসান হাওলাদার, কমলনগর উপজেলা প্রতিনিধ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিয়ের প্রলোভনে স্থানীয় তানজিদ(২০) নামের এক যুবকের একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে ১২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত তানজিদ (২০) উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সানু মাঝির ছেলে। ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে এবং তার মামা নাসির মাঝি ও বাবা সানু মাঝি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
সোমবার(২৩ জুন) সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে ঘটনাটি জানান ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, প্রায় এক বছর আগে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে তানজিদ তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতো। তার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চাপ দিতো। এক পর্যায়ে তানজিদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রমজান মাসে তানজিদ ছাত্রীর বাড়িতে তার মামার ঘরে অবস্থান নেয়। ওই সুযোগে রাতে ছাত্রীটির ঘরে ঢুকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এভাবে অনেকদিন তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ভয়ভীতিও দেখায়।
সম্প্রতি শারীরিক সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গেলে সে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে। এ খবর জানালে তানজিদ যোগাযোগ বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়। এখন আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নাই বলেও জানায় সে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তের পরিবার নানা ভাবে চাপ ও হুমকি দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা নুর মোহাম্মদ বলেন, আমার পাশে ছেলের(তানজিদের) মামার ঘর। এই ঘটনার পর থেকে তাদের পরিবার আমার মেয়েকে দোষারোপ করে সারাক্ষণ আমাদেরকে গালমন্দ করে এবং হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
অভিযুক্তের মামা নাসির মাঝি বলেন, “সব দোষ মেয়ের, ছেলের কোনো দোষ নাই। আমাদের কিছু করার নেই।”
অভিযুক্ত তানজিদের বাবা সানু মাঝি বলেন, “আমি এই মেয়েকে কখনোই মেনে নিবোনা। আমার যা হওয়ার হবে” বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত তানজিদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি কেউ জানায়নি। খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।