

মোঃ শাহজাহান বাশার ,স্টাফ রিপোর্টার
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি-তে এক ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করা অফিস সহায়ক মোঃ রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে তেল চুরি, গ্যাস মিটার ও ক্যাসেট বিক্রি এবং সরকারি মালামাল আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন প্রতিষ্ঠানটির একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা।
অভিযোগকারী মোঃ সিরাজুল ইমদাদ, যিনি নিজেকে প্রায় ১৮ বছর তিতাসের বিভিন্ন শাখায় দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশ সচিবালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা বরাবর একটি লিখিত আবেদনপত্রে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, মোঃ রবিউল ইসলাম তিতাস গ্যাস-এর পিয়ন পদে বহাল থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি অপারেশন বিভাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম করে আসছেন।বিশেষ করে ডেমরা,সিদ্দিরগঞ্জ, রূপসী, মেঘনা ঘাট, বসুন্ধরা ঘেঁষাল, আশুগঞ্জ স্পারহানী মজারসহ বিভিন্ন জোনে বরাদ্দকৃত গ্যাস লাইনের জন্য নির্ধারিত তেল ও মিটার চুরি করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
প্রতিমাসে গড়ে ১২০টি গাড়ির জন্য বরাদ্দকৃত তেল, যার প্রত্যেকটিতে আনুমানিক ৯০৪ লিটার করে বরাদ্দ ছিল, সেই অনুযায়ী প্রতি মাসে প্রায় ১০,০০০-১২,০০০ লিটার তেল গোপনে বাজারে বিক্রি করা হতো। এই তেল প্রতি লিটার ৩৮ টাকা দরে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এছাড়া, বিভিন্ন সময়ে তিতাস গ্যাসের পুরাতন অপারেশন মিটার, ক্যাসেট, শিল্প এলাকার মিটার গোপনে বিক্রি করে একেকটি মিটার ১৫,০০০ টাকার বেশি দামে বেচা হতো বলে অভিযোগে বলা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, রবিউল ইসলাম ঠিকাদারদের সহযোগিতায় পুরাতন মালামালকে নষ্ট দেখিয়ে তা গায়েব করেন। তিনি রোস্টার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নিয়ে পিয়ন ও নিরাপত্তাকর্মীদের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন এবং কর্মকর্তাদের অজান্তে অপারেশনাল কাজে অংশ নিচ্ছেন।
তিনি আউটসোর্সিং পদে যোগদান করলেও পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী স্টাফের মতো প্রভাব বিস্তার করেন। এমনকি তিতাস গ্যাসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীও এই চক্রে জড়িত বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগকারী মোঃ সিরাজুল ইমদাদ বলেছেন, “সরকারি মালামাল আত্মসাৎ করে যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি সাধন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। একজন পিয়নের এতো ক্ষমতা কীভাবে সম্ভব, তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “রবিউলের মতো কর্মচারীদের পদ অনুযায়ী দায়িত্ব নির্ধারণ করে উপযুক্ত বিভাগে বদলি করতে হবে এবং অবিলম্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্নীতির শেকড় অনুসন্ধান করতে হবে।”
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি-র প্রকৌ. রাজীব কুমার সাহা কে মোট ফোনে কল করলেও তাকে পাওয়া যাই নাই। এবং অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম কে একাদিক বার কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরে তিনি বেস্থ আছি পরে কথা বলবো বলে কলটি কেটে দেন তাই কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।