

মো:আজগর আলী,চট্টগ্রাম
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত রাজনৈতিক দল, যার রাজনৈতিক ইতিহাস দীর্ঘ “৪৭সালে ভারতবর্ষ ভাগ হওয়া থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের পাকিস্তান বিভক্তি পর্যন্ত দলটি উপমহাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে,বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার,স্বল্প খরচে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা,অপসংস্কৃতির হানা থেকে যুব সম্প্রদায়ের উত্তরণে ইসলামী সংস্কৃতির চর্চা নৈতিক জাতি গঠনের লক্ষ্যে ধর্মীয় শিক্ষা ও বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনের লক্ষ্যে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সহ হাজারো কাজ করে যাচ্ছে দলটি।
২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরবর্তীতে হাসিনা রিজিমের পতনের ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবিরের সক্রিয় ভূমিকা দলটিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনন্য জায়গায় পৌঁছিয়েছে।
সরকারবিরোধী নানা আন্দোলন, বিশেষ করে ২০১৩–২০২৪ সাল পর্যন্ত দলটির আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তৈরিকৃত রাজনৈতিক উত্তাপের ফলে ২০২৪সালে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।অবশ্য এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি,বেশ কয়েকটি ইসলামী ছোট ছোট দল ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী একদিকে যেমন ধর্মভিত্তিক রাজনীতির একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্বকারি ইসলামী দল, অপরদিকে দলের বর্তমান আমির ডা.শফিকুর রহমান এর বিচক্ষণ নেতৃত্ব দলটিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণমুখী দল হিসেবে সাধারণ মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে।
দলটির অভ্যন্তরীণ সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব, সততা,দক্ষতা যা বাংলাদেশ রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।আগামী ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলটি দেশের রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এমনটি শুনা যাচ্ছে। গ্রাম-গঞ্জের ধর্ম-প্রিয় সাধারণ মানুষ দলটিকে আগামীর বাংলাদেশে বিনির্মানে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখার প্রত্যাশাও করছে।