
Exif_JPEG_420

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান “মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ”-এ আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(২২ জুন) রবিবার সকাল ১১টায় কলেজ মিলনায়তনে এই বিদায় ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, যাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য, সাফল্য ও মঙ্গল কামনায় একাত্ম হয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের সূচনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মিরাজ মাহমুদ। এরপর পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মাহবুবুর রহমান লিটন। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আবেগঘন অনুভূতি তুলে ধরেন মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদা ইসলাম রিয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন প্রভাষক মো. জামাল হোসেন ও সুমন রানা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহমুদা জাহান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবুল খায়ের, আব্দুল মতিন খচরু মহিলা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি আব্দুল মোমেন, ও হিতৈষী সদস্য ফয়জুন নাহার চৌধুরী।
এছাড়াও মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার হাজী নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মোল্লা, প্রেসক্লাব সভাপতি সৈয়দ আহাম্মদ লাভলু, ইউপি সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষক আবুল বাশার মাষ্টার, হাজী মো. ইস্রাফিল ভূইঁয়া, হাজী মো. আলাউদ্দীন, তফাজ্জল হোসেন, গাজী আব্দুল হান্নান, মফিজুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ, আব্দুল খালেক, কায়কোবাদ মাষ্টার, হাবিবুর রহমান, সার্জেন্ট আল-আমিন, মোজাহিদ হোসেন খোকন মিয়াজী, ইকতার হোসেন, আবু সর্দার, শাহজাহান সরকারসহ অসংখ্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে মহালক্ষীপাড়া সিনিয়র মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হযরত মাওলানা হাবিবুর রহমান মমতাজী বিদায়ী পরীক্ষার্থীদের সফলতা, সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ এই আয়োজনের মাধ্যমে শুধু শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রেরণাই বাড়ায়নি, বরং একটি ধর্মীয় ও মানবিক আবহ সৃষ্টি করেছে, যা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে সাহস ও অনুপ্রেরণায় ভরিয়ে দেয়।