

একে আজাদ ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে দক্ষিণ সন্ধ্যারই ঘুঘুডারা সূনেল মার্কেট সংলগ্ন ঘুঘুডারা–ক্ষুদ্রবাঁশবাড়ি সড়কের প্রবেশমুখে রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পথচারীদের ভোগান্তি পৌঁছায় চরমে এছাড়াও সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হয় এই পথে নিয়মিত চলাচলকারী ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে উভয় পাশের দোকানের বারান্দা দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয় তাদের। স্থানীয়দের অভিযোগ পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তায় জমে যায় পানি। এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় পানি জমে যায়। এদিকে ভারি বর্ষণে পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারণে চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে ট্রাক,ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, অটো রিক্সা ও ভ্যান চালকদের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় যানবাহন, পথচারী ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ওই এলাকার আকালূ দেব বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই এ রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমাদের চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা এই রাস্তাটির জলাবদ্ধতা দূর করণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
মোটরসাইকেল চালক, লক্ষণ দেব বলেন, বৃষ্টি কমলেও রাস্তায় সব সময় পানি জমে থাকে পানির মধ্য দিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর সময় রাস্তার অবস্থা বোঝা যায় না। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। রাস্তাটিতে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় ।ভ্যান চালক মুক্তার হোসেন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তার পরিস্থিতি খুবই বাজে রূপ ধারণ করে। এসময় ভ্যান চালাতে সমস্যায় পড়তে হয়। কাদা পানিতে পড়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় থাকি। আমরা রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার চাই।
ঘুঘুডারা সূনেল মার্কেটের কীটনাশক ব্যবসায়ী, সোহেল রানা বলেন, সড়কের এই অংশের জলাবদ্ধতার জন্য মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সবার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে মার্কেটের ক্রেতা, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, সন্ধ্যারই ঘুঘুডারা এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া রাস্তাটির পানি নিষ্কাশনের জন্য নালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। আশা করি জনসাধারণ দ্রুত এই সমস্যার প্রতিকার পাবেন।