জুলাই ১২, ২০২৫
Home » আলোচিত চন্ডিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অভিযুক্ত প্রমাণিত
llll
মোঃ সাহেদ হোসেন, কুষ্টিয়া স্টাফ রিপোর্টার
আলোচিত চন্ডিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হক তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অভিযুক্ত প্রমাণিত। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন এর একমাত্র ঐতিহ্যবাহী চন্ডিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্টে অভিযুক্ত প্রমাণিত হয়েছেন। নিম্নে তদন্ত কমিটির তদন্তে প্রমাণিত কয়েকটি বিবরণ তুলে ধরা হলো-
১.উপবৃত্তির বিপরীতে ২৪৯০৬৮ টাকার টিউশনফি আত্মসাৎ। তদন্ত কমিটির নিকট অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে কোন প্রকার ডকুমেন্টস দেখাতে সমর্থ্য হন নি এবং এ সংক্রান্ত আর্থিক ব্যয় ক্যাশবুকে যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। তাছাড়া ব্যাংক হিসাবের সাথে অসংগতি রয়েছে এবং এর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করতে সমর্থ্য হন নি। প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
২. উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীদের নিকট থেকে বেতন উত্তোলন। উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের থেকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে বেতন গ্রহণ করে কি কি খাতে ব্যয় করেছেন তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা এবং ব্যয় চার প্রধান শিক্ষক দেখাতে সমর্থ্য হন নি। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন নেয়া হয়েছে বলা হলেও এ সংক্রান্ত কোন কার্যবিবরনী দেখাতে পারেন নি। প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
৩. বিদ্যালয়ের জনতা ব্যাংকের এফডিআর ভাঙ্গার পর অর্থ আত্মসাৎ। বিদ্যালয়ের নামীয় জনতা ব্যাংকে রক্ষিত এফডিআর এর ৬৪,০০০/- টাকা গত ০৪ আগস্ট ২০১৯ তারিখে উত্তোলন করে পরবর্তীতে ৫০,০০০ টাকা ব্যাংকে এফডিআর হিসেবে জমা দেন। অবশিষ্ট ১৪,০০০ টাকা অন্য খাতে ব্যয় করলেও তার প্রমানাদি দিতে ব্যর্থ হন। প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
৪. সোনালী ব্যাংকের সাধারন তহবিল হতে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন এবং ছাত্র আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে সঠিক ভাবে জমা দেওয়া হয় না। বিদ্যালয়ের নামে সোনালী ব্যাংকে একটি সাধারণ তহবিল রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্টেটমেন্ট পর্যালোচনায় ভিন্ন সময়ে উত্তোলিত টাকার বিপরীতে বিল ভাউচার দেখাতে সমর্থ হননি এবং সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেন নি। এছাড়া বি. র সময়ে চর বিবরণ যথাযথভাবে ক্যাশবুকে লিপিবদ্ধ করেন নি। প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
৫. বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ, ট্যাব, ২টি ওয়েট মেশিন, ২টি ফ্যান, ১০ টি চেয়ার, বেজ, অনুবিক্ষনযন্ত্র, বিপি মেশিন ইত্যাদি পারিবারিক কাজে ব্যবহার করেন। বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ, ট্যাব, চেয়ার এবং বেঞ্চ নিজের হেফাজ, রেখেছেন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি সম্পর্কে তিনি অবগত নন বলে তদন্ত কমিটির নিকট স্বীকারোক্তি যেন। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে এই সকল সরঞ্জামের হিসাব হতে দায়মুক্তির সুযোগ নেই।  অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
৬. জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষার মূল সনদ বিতরনে জোর পূর্বক ভুয়া রসিদের মাধ্যমে অর্থ আদায়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জে,এস,সি এবং এস,এস,সি পরীক্ষার সনদ বাবদ নিয়ম বর্হিভূতভাবে ৩০০ এবং ৩৫০ টাকা হারে আদায় করতেন। এই আয় তিনি নিয়মিত সাধারণ তহবিলে প্রদান করতেন না এবং এই ব্যয়ের কোন ভাউচার দেখাতে সমর্থ্য হন নি। প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
৭. সততা ষ্টোরে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রাপ্ত অর্থ আত্মসাৎ। সরেজমিন পরিদর্শনে সততা স্টোরের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায় নি। প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *