

মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার বুড়িচং থানাধীন দক্ষিণগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় ঘটেছে এক লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড। নিখোঁজ থাকার পাঁচ দিন পর বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ট্যাংকির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক নারীর বস্তাবন্দী মরদেহ। মৃত নারী শামসুল হক সাহেবের সহধর্মিণী এবং ইকরামুলের মা, যিনি লেখকের দূরসম্পর্কের নানু বলেও জানা গেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি গত পাঁচ দিন যাবৎ নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। শেষপর্যন্ত আজ (তারিখ উল্লেখ করুন) দুপুরে বাড়ির পাশে একটি পুরনো, পরিত্যক্ত ট্যাংকির ভিতর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসে। পরে ট্যাংকির ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে একটি বস্তা পাওয়া যায়, যার ভিতরে ছিল নিখোঁজ নারীর মরদেহ।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, কে বা কারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে বস্তাবন্দী করে ট্যাংকির ভিতর ফেলে রেখে যায়, যাতে লাশের গন্ধে ধরা না পড়ে।এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘‘ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।’’
পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী এই নৃশংস হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, এমন একটি বেদনাদায়ক ঘটনায় সমগ্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গৃহবধূর মৃত্যু শুধু একটি পরিবার নয়, গোটা গ্রামের মানুষকে ব্যথিত করেছে। তারা সকলেই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দ্রুত আইনি পদক্ষেপ দেখতে চায়।