

মোস্তাক আহমেদ বাবু, রংপুর
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর নির্মাণে২০কোটি টাকার মধ্যে ৮কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন ও সাবেক অন্নদানগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ চেয়া- রম্যান,আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
জানা যায়,উপজেলার ৪নং অন্নদানগর ইউনিয়নের শল্লার বিল গত২০২৩-২৪অর্থবছরের খাস জমিতে আশ্রয়ন প্রল্পের ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণ সরকারি ভাবে২০কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এই গৃহ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সেখান থেকেও ৮কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে জানান এলাকাবাসী। মাটি ভরাটের নামে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করে,সেখান থেকে পাইপের সাহায্যে বালু উত্তোলন করে ৫/ ৬ ফিট উঁচু করার কথা থাকলেও তা দুই থেকে তিন ফিট উঁচু কার হয়,এবং বাকি বালু একাধিক জায়গায় স্স্তুপ করে বি- ক্রয় করা হয় বলে জানান,আফাজ উদ্দিন নামের একজন ব্যক্তি।
পরে সেই বালু টলি প্রতি ১হাজার টাকা করে বিক্র করা হয়, হিসাব করে দেখা গেছে ১ হাজার টাকা মূল্য হলে,১০ কোটি টাকার বালু বিক্রি করা হয়েছে। বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে বর্ষা মৌসুম,তাই নির্মাণকৃত ঘরগুলো আগামী বর্ষা মৌসুমে ধসে যাওয়ার সংখ্যা প্রকাশ করছেন বসবাসরত ভূমিহীন বাসিন্দারা। কারণ জানতে চাইলে এলাকার সুশীল সমাজ জানান,নিম্ন- মানের সামগ্রী দিয়ে ঘর গুলো তৈরি করা হয়। অথচ ঘরগু- লোতে সরকারি বরাদ্দে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে,প্রতি ঘরের জন্য ৩ লক্ষ ৬৫,০০০টাকা হিসাব মতে ৪৩০ টি ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হয,১৫ কটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এবং ঘর বিতারণে অনিয়মের অভিযোগে গত রবিবার ১১ ঘটিকায় ইউএনও অফিস ঘেরাও করেছিলেন ভূমিহীনরা। এবং ইউএনও অফিসে অবস্থান নিয়ে দুর্নীতির নানা অভি- যোগ তুলে ধরে তারা,কোন সারা না পেয়ে গত ৩০জুন রোজ সোমবার দুপুরে,ডিসি অফিসে একটি স্মারক-লিপি প্রদান করেন। অভিযোগে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ঘর বিতর- ণে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে জানান গৃহহীন মানুষ। ভূমিহীনদের নামে বরাদ্দকৃত ঘর টাকার বিনিময়ে বিক্রি ও অবৈধভাবে দখল করে রাখা হয়েছে বলে জানান,গৃহ বঞ্চিত মানুষেরা। কোন প্রকার নিয়ম না মেনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ ধনী ব্যক্তিরাও একাধিক ঘর বরাদ্দ নিয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্পে।
এতে বঞ্চিত হয়েছে প্রকৃত ভূমিহীনরা,ইউএনও ইফতিসাম প্রীতি বলেন,কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ভূমিহীনদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে,ডিসি মোহাম্মদ রবিউল ফাইসাল বলেন,যদি এই ধরনের কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তা,খতিয়ে দেখা হবে বলে- জানান,গণমাধ্যম কর্মী দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিন পত্রি- কার বিভাগীয় ক্রাইম রিপোর্টার মোস্তাক আহমেদ বাবু সহ ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে।