

সাইফুল ইসলাম তুহিন, স্টাফ রিপোর্টার
৪৪তম বিসিএস কৃষি ক্যাডারে ৪২টি পদে উত্তীর্ণদের তালিকা নিয়ে দেশজুড়ে তরুণ কৃষিবিদদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ফলাফলে দেখা যায়, এই পদগুলোতে বিপুল সংখ্যক “রিপিট ক্যাডার” উত্তীর্ণ হয়েছেন—যারা ইতিমধ্যেই অন্যান্য ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত। একাধিক সূত্র বলছে, এই ৪২টি পদের মধ্যে প্রায় ৩৫ জনই পূর্বের বিসিএস-এ বিভিন্ন ক্যাডারে কাজ করছেন বা সুপারিশপ্রাপ্ত।
তাদের মধ্যে কেউ স্বাস্থ্য, কেউ শিক্ষা, কেউবা প্রশাসন ক্যাডারে যুক্ত। এমনকি ডিভিএম, ডেন্টাল, ও সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীরাও কৃষি ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে যোগদানের সম্ভাবনা কম। এই পরিস্থিতিতে প্রকৃত নতুন প্রার্থীদের মাঝে ব্যাপক হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। একজন ভুক্তভোগী প্রার্থী, নাজমুল হক, নিজের সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন,
“ভাগ্যকে মানা যায়, কিন্তু প্রহসনকে নয়। নিজের রেজাল্টের জন্য প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু আশেপাশে সবাই নন-ক্যাডার থাকবে, এটা ভাবিনি।”
তিনি আরও বলেন,“নতুন বাংলাদেশের রাতের রেজাল্ট এক রকম প্রহসনই বটে। মেধাবীদের মূল্যায়নের বদলে যেন রিপিট ক্যাডারদের পুরস্কৃত করা হলো।”বিসিএস পরীক্ষাকে ঘিরে তরুণদের মধ্যে যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা থাকে, এই ফলাফল যেন সেখানে হতাশার ছায়া ফেলেছে। পিএসসি (বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন) অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে, কিন্তু নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে “রিপিট প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ” বা “চাহিদা অনুযায়ী যোগদানের নিশ্চয়তা থাকা” নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে মেধাবী তরুণরা হতাশ হয়ে পড়বে এবং কৃষি ক্যাডারে আসার আগ্রহ হারাবে।