

মোঃ মোজাম্মেল হক, পত্নীতলা, নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর (চ্যাংডাঙ্গা) গ্রামে পৈত্রিক জমি জোরপূর্বক দখল ও নারী কেলেঙ্কারি মামলায় ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযোগকারীরা দাবি করছেন, আদালতের রায় তাদের পক্ষে থাকা সত্ত্বেও একদল প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী কায়দায় জমিটি দখল করে নিয়েছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা:
১. শ্রীমতি বুদ্ধিমনি (স্বামী মৃত খোকা উড়াও) ২. শ্রীমতি সিমা রানী ৩. শ্রী রাজেম উড়াও ৪. শ্রী বাবুলাল উড়াও (সকলের পিতা: মৃত খোকা উড়াও; গ্রাম: কাশিপুর, পোস্ট: আগ্রাদ্বীগুন, থানা: ধামইরহাট, জেলা: নওগাঁ)
বিতর্কিত জমির বিবরণ:
জেএল নং: ২৫
খতিয়ান নং: ২৩
হাল খতিয়ান নং: ৮৮
সাবেক দাগ: ১৫৭/১৪৩/১০৫
হাল দাগ: ১০৩/১৫০/১৫৮
জমির পরিমাণ: ১.৩৩ শতক
ভুক্তভোগীদের বক্তব্য:
শ্রী উলিন উড়াও ও শ্রী সমরা উড়াও জানান,
“সিএস খতিয়ান জমিদারের নামে পত্তনীমূলে আমাদের পিতা বুধুয়া উড়াও-এর নামে এসএ খতিয়ান প্রস্তুত হয়। ভুলবশত আরএস খতিয়ান অন্য কারো নামে হলে আমরা মামলা (মামলা নং ১১/৮৪ অপ্র) করে ২৮/৫/৯০ তারিখে আদালতের ডিগ্রি পাই। এরপরও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দখলে ছিলাম। হঠাৎ এক পর্যায়ে তারা নারী কেলেঙ্কারির হুমকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশ দিয়ে আমাদের হয়রানি শুরু করে এবং জমিটি দখল করে নেয়।”
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বক্তব্য:
গ্রামবাসীরা জানান,
“সমরা উড়াও পরিবার বহুদিন ধরে এই জমি ভোগ করে আসছে। কিন্তু ২১/৭/২২ তারিখে আদালতের রায় উপেক্ষা করে সিমা রানীর পক্ষের লোকজন জোরপূর্বক জমি দখল করে নেয়।”তারা আরও জানান,“এ ধরনের অন্যায় ঘটনা বারবার ঘটছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের অস্থিরতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।”
অভিযুক্তের বক্তব্য:
শ্রীমতি সিমা রানী বলেন,
“আমরা ২১/৪/৬৯ তারিখে ৩৬৬৩ নম্বর কমলা দলিলের ভিত্তিতে মালিক। তবে আদালতের ডিগ্রির বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। আমাদের কাছে ইনফরমেশন স্লিপও রয়েছে।”
জনপ্রতিনিধির প্রতিক্রিয়া:
অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব তোফাজ্জল হোসেন বলেন,“আদালতের ডিগ্রি থাকা অবস্থায় জমি দখল করা বেআইনি। এ ঘটনায় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”জমি দখল ও মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে উৎখাত করার এ ধরনের ঘটনা সামাজিক ভারসাম্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এলাকাবাসী এবং ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।