জুলাই ৮, ২০২৫
Home » ফটিকছড়িতে কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন (ক্যাফ) এর জমকালো পুরস্কার বিতরণী 
1000143005
মোঃ আজগর আলী, চট্টগ্রাম 
ফটিকছড়ি উপজেলার সুপরিচিত শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর সংগঠন  ফটিকছড়ি কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন(ক্যাফ)-এর উদ্যোগে আয়োজিত হলো এক  জমকালো পুরস্কার বিতরণী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান। আজ ৫ই জুলাই(শনিবার)সকালে উপজেলার স্থানীয়  ম্যারেজ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে মোহাম্মদ ছৈয়দুল আযাদের সভাপতিত্বে ও মাসুদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে জমকালো এই অনুষ্ঠানটি।
বর্ণিল এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন কিন্টার গার্টেন এর শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সুধীজন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি জমকালো আয়োজনে রূপ নেয় কমিউনিটি সেন্টারটি। জমকালো এই অনুষ্ঠানের  প্রধান অতিথি  ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোজাম্মেল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড.মো:মঈনুল হাসান।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র ইউনিয়ন ব্যাংক নাজিরহাট শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো:বায়েজিদ হাসান মুরাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মাজহারুল উলুম গাউসিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ছৈয়দ হাফেজ আহমদ ও ক্যাফের সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াকুব মিয়া সহ উপজেলার বিভিন্ন কিন্টার গার্টেন এর প্রধান শিক্ষক, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সহ উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বক্তারা বলেন কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন(ক্যাফ) শুধু প্রথাগত শিক্ষা নয়, শিশুদের সৃজনশীলতা ও নৈতিকতার বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব  দিয়ে  এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে  শিক্ষার্থীদের সাফল্যের স্বীকৃতি এবং তাদের মনোবল বৃদ্ধির  স্বীকৃতি দিতে স্বর্ণপদক সহ বিভিন্ন গ্রেডে সর্ব মোট ৩১৯টি পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। পুরস্কার বিতরণ পর্বে শ্রেণি ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রেডে বৃত্তি প্রাপ্ত বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র, ক্রেস্ট ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা শিশুর জীবনের ভিত্তি এ সময়ে তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহানুভূতিশীল পরিবেশ প্রয়োজন। তিনি তার ছাত্র জীবনের স্মৃতি স্মারক করে বলেন আমিও তোমাকের মতো ছোট ছিলাম,আমার স্বপ্ন ছিলো একদিন এরকম জমকালো আয়োজনের প্রধান অতিথি হবো আজ আমি হয়েছি, কোমলমতি সোনামনিরা তোমরাও স্বপ্ন দেখো একদিন আমার মতো সফল হতে পারবে। পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আনন্দ চোখেমুখে ফুটে ওঠে। মঞ্চ থেকে নামার পর অনেকেই তাদের সনদ ও ক্রেস্ট উঁচিয়ে ধরে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অভিভাবকদের অনেকেই সন্তানদের অর্জনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী  বলেন,”আমি অনেক খুশি। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ধন্যবাদ, আমার বাবা-মা আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।”
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী অভিভাবক অন্তু নামের একজন বলেন,”এ ধরনের আয়োজন শিশুদের মনে চিরস্থায়ী প্রভাব ফেলে। তাদের পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেলে পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা বাড়ে।”পরিশেষে সভাপতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, “আপনাদের সকলে সহযোগিতায় আজকের অনুষ্ঠান সার্থক হয়েছে। আগামী বছর আরও বৃহৎ পরিসরে এই আয়োজন করা হবে।”
উপস্থিত সুধীজনও অনুষ্ঠান সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। তারা বলেন, শিশুদের এই অর্জন শুধু প্রতিষ্ঠান গুলোর সুনাম বৃদ্ধি করে না, সমগ্র সমাজে একটি শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
অনুষ্ঠান শেষে আগত সম্মানে মিষ্টি ও নাস্তার আয়োজন করা হয়। সুশৃঙ্খল পরিবেশে বর্ণিল এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।উৎসবমুখর এই আয়োজন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অতিথি সকলের মনে অনন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে বলে সবার প্রত্যাশা।

Loading

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *