Dhaka 3:25 pm, Saturday, 8 November 2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিএনজি ধর্মঘটে অচল অতিরিক্ত ভাড়া, সড়ক অবরোধে জনভোগান্তি

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:50:27 am, Monday, 28 July 2025
  • 199 Time View
এসএম নাইমুল ইসলাম জিহাদ (স্টাফ রিপোর্টার)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, অবৈধ অর্থ আদায়, লাইসেন্স জটিলতা ও বিনা কারণে গাড়ি জব্দের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জেলার সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকদের ডাকে সোমবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অটোরিকশা চলাচল। এতে জনজীবনে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
ধর্মঘটের ফলে যানবাহনের সংকটে ভুগছে কর্মজীবী মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও রোগীরা। আর এই সুযোগে কিছু অসাধু পরিবহন চালক যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছেন অতিরিক্ত ভাড়া।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী মোড় থেকে আখাউড়া রোডের স্বাভাবিক ভাড়া যেখানে ৬০ টাকা, সেখানে এখন নেয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে কাউতলী থেকে রাধিকা, সুলতানপুর ও চিনাইর এলাকায় ৪০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
ধর্মঘট চলাকালে বিক্ষুব্ধ চালকরা সোমবার সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নামে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। হঠাৎ থমকে যায় দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক চলাচল। একপর্যায়ে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে প্রায় তিন ঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়া হয় এবং ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
তবে আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—তাদের তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. জব্দকৃত সব সিএনজি চালিত অটোরিকশা অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া,
২. পারমিট অনুযায়ী জেলায় সর্বত্র চলাচলের অনুমতি নিশ্চিত করা,
৩. ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা।
সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, ট্রাফিক বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিনা কারণে গাড়ি জব্দ করে চালকদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করছেন। এসব অনিয়ম বন্ধ না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
Tag :
সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল হাসান

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

বিএনপির প্রার্থী সা চিং প্রু জেরীর সাথে লামা মহিলা নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিএনজি ধর্মঘটে অচল অতিরিক্ত ভাড়া, সড়ক অবরোধে জনভোগান্তি

Update Time : 10:50:27 am, Monday, 28 July 2025
এসএম নাইমুল ইসলাম জিহাদ (স্টাফ রিপোর্টার)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, অবৈধ অর্থ আদায়, লাইসেন্স জটিলতা ও বিনা কারণে গাড়ি জব্দের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জেলার সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকদের ডাকে সোমবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অটোরিকশা চলাচল। এতে জনজীবনে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
ধর্মঘটের ফলে যানবাহনের সংকটে ভুগছে কর্মজীবী মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও রোগীরা। আর এই সুযোগে কিছু অসাধু পরিবহন চালক যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছেন অতিরিক্ত ভাড়া।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী মোড় থেকে আখাউড়া রোডের স্বাভাবিক ভাড়া যেখানে ৬০ টাকা, সেখানে এখন নেয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে কাউতলী থেকে রাধিকা, সুলতানপুর ও চিনাইর এলাকায় ৪০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
ধর্মঘট চলাকালে বিক্ষুব্ধ চালকরা সোমবার সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নামে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। হঠাৎ থমকে যায় দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক চলাচল। একপর্যায়ে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে প্রায় তিন ঘণ্টা পর দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়া হয় এবং ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
তবে আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—তাদের তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. জব্দকৃত সব সিএনজি চালিত অটোরিকশা অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া,
২. পারমিট অনুযায়ী জেলায় সর্বত্র চলাচলের অনুমতি নিশ্চিত করা,
৩. ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা।
সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা অভিযোগ করেন, ট্রাফিক বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিনা কারণে গাড়ি জব্দ করে চালকদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করছেন। এসব অনিয়ম বন্ধ না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।