
মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
সাবেক সংসদ সদস্য ও আলোচিত রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রকৃত চরিত্র বোঝার জন্য ইতিহাসের নিষ্ঠুর সেনাশাসক ইয়াহিয়া খান ও টিক্কা খানের কাছে জানতে হবে। তিনি অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের ছায়াতলে থাকা একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বর্তমানে নানা ধরনের তৎপরতা ও অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে, যার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ঘটনায়।
বুধবার (৩০ জুলাই) নিজের ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় এ মন্তব্য করেন তিনি। গোলাম মাওলা রনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কী জিনিস এটা জানতে চাইলে শুধু বর্তমান পরিস্থিতি দেখলে চলবে না। এর জন্য জানতে হবে ইতিহাসকে। ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানকে জিজ্ঞেস করতে হবে— তারাই জানেন আওয়ামী লীগের সশস্ত্র শক্তি কীভাবে কাজ করে।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ, রওশন এরশাদ এবং দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জানেন আওয়ামী লীগ কীভাবে তাদের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছে। আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করে এক সময়কার ইনু, মেনন, মতিয়া চৌধুরীর মতো রাজনীতিবিদদেরও আজ আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করতে দেখা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “জয় বাংলা, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্লোগান এক সময়ের বিরোধীদের ‘ডিএনএর’ ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা আজ নিজেদের রাজনৈতিক আত্মপরিচয় হারিয়ে ফেলেছেন।”
এছাড়া সম্প্রতি একটি ভাইরাল হওয়া টেলিফোন সংলাপ প্রসঙ্গে গোলাম মাওলা রনি বলেন, “এক ব্যক্তি নিজেকে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু গেরিলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে পুলিশের একজন অফিসারকে হুমকি দিয়েছেন। তিনি খোলাখুলি বলছেন— গোপালগঞ্জে এবং বাইরেও তিনি কী করতে পারেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে কী কী হচ্ছে, এমনকি ভারতের সম্পৃক্ততা নিয়েও ইঙ্গিত করছেন।”
রনি বলেন, “এই হুমকিদাতা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকার এখনও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। পুলিশ কর্মকর্তা ভয়ে চুপ থেকেছেন, সংঘাতে যাননি। এমন একটি ঘটনায় সরকারের নিস্ক্রিয়তা বিস্ময়কর।”
তিনি বলেন, “২০০৯ সালে শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টিকে যে অবস্থায় ফেলেছেন, সেটা এরশাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে তাড়া করেছে। সেই প্রতিশোধের রাজনীতির ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। জাতীয় পার্টির বর্তমান অবস্থা কেমন, সেটা যাচাই করতে গেলেই দেখা যাবে আওয়ামী লীগের কতটা প্রভাব সেখানে কাজ করেছে।”
ভিডিও বক্তব্যে তিনি সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন।গোলাম মাওলা রনির বক্তব্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাঁর সরাসরি অভিযোগ এবং ইতিহাস প্রসঙ্গ টেনে আনা নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Reporter Name 























