
মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, সীমান্তে কোনো ধরনের ‘দুঃসাহস’ দেখালে পাকিস্তানের “ইতিহাস ও ভূগোল”—দুটোই বদলে দেওয়া হবে। তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে।
সম্প্রতি গুজরাটের কচ্ছ জেলায় সামরিক ঘাঁটিতে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি পাকিস্তানকে সরাসরি অভিযুক্ত করেন। রাজনাথের দাবি, পাকিস্তান নাকি স্যার ক্রিক সংলগ্ন এলাকায় সামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, যা ভারত কোনোভাবেই মেনে নেবে না। তিনি বলেন—
“আমাদের সীমান্তে যদি কেউ দুঃসাহস দেখানোর চেষ্টা করে, তবে মনে রাখতে হবে ভারতের সেনারা এখন আর নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না। পাকিস্তানের ইতিহাস ও ভূগোল—সবই বদলে দিতে আমরা প্রস্তুত।”
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের অন্যতম সংবেদনশীল এলাকা হলো স্যার ক্রিক। এটি এক সরু জলপথ যা পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশকে ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে আলাদা করেছে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে দুই দেশই এ অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে টানাপোড়েনে রয়েছে। রাজনাথের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর এই সীমান্তবর্তী কৌশলগত অঞ্চল ফের আন্তর্জাতিক শিরোনামে চলে এসেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের রেশ টেনেই পাকিস্তানকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন—
“ভারতীয় সেনারা এতদিন অনেক সংযম দেখিয়েছে। কিন্তু এবার থেকে কোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপ হলে তার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে।”ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনায় মোড় নিচ্ছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। স্যার ক্রিক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টানাপোড়েন শুধু ভৌগোলিক সীমান্ত নয়, বরং সামরিক কৌশল, জলসীমা ব্যবহার ও প্রাকৃতিক সম্পদের দখল নিয়েও জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ইস্যুতে উভয় দেশের বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্য সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে। এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর কড়া সতর্কবার্তা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি পাকিস্তান কতটা গুরুত্ব দিয়ে নেয়, এখন সেটিই দেখার বিষয়।
Reporter Name 























