Dhaka 2:25 am, Friday, 10 October 2025

“মেধা যাচাই নয়, মেধা বিকাশই আজকের চ্যালেঞ্জ “: ফটিকছড়িতে আসলাম চৌধুরী

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:04:24 pm, Tuesday, 7 October 2025
  • 178 Time View
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার ৭ অক্টোবর অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মেধা অন্বেষণ উৎসব–২০২৫, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান’। দিনব্যাপী এ উৎসব প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বর্তমান ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মিলনমেলায় রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক মফিদুল ইসলাম মামুন।
সঞ্চালনা করেন মোবারক হোসেন রুবেল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক ও শিল্পপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি, বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী দলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী এফসিএ।
আসলাম চৌধুরী বলেন: “বৃত্তি পরীক্ষা মানে নিজের মেধাকে যাচাই করা নয়, বরং তা হলো আত্মমূল্যায়নের সুযোগ। নিয়মিত অধ্যয়নই সাফল্যের চাবিকাঠি। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের প্রতিদিন পড়ার টেবিলে বসার অভ্যাস গড়ে তোলা।”তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে জ্ঞান, নৈতিকতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার সমন্বয় ঘটাতে হবে। সুযোগ পেলে কাঞ্চননগর বিদ্যালয়কে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে কাজ করব।”শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে তিনি ঘোষণা দেন, “এই মাসের ১ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে যাদের জন্মদিন, তাদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং তিনি তা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন আহাম্মদ,
কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছরওয়ার আলম, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান।  ইউএনও মো:মোজাম্মেল হক চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন: “ফটিকছড়িবাসীর পক্ষ থেকে অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ওনার মতো একজন নেতা ফটিকবাসীর বড় প্রয়োজন।খুব শিগগিরই কাঞ্চননগর বিদ্যালয় কলেজে রূপান্তরিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন”
উদ্বোধনী ঘোষণা দেন ডা. রাশেদুল হাসান তিনি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “কাঞ্চননগর একটি বৃহৎ ইউনিয়ন হলেও এখনো অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। আজ ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৯১ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। শিক্ষার মান উন্নত রাখতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন ছাত্র আনোয়ারুল আজিম,প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার,নাজমুল আলম চৌধুরী,ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল্লাহ মুন্না,বদিউল আলম তালুকদার,ফোরকান ও মহসিনুল কবির চৌধুরী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা এস এম আজিজ উল্লাহ,অহিদুল আলম, মোহাম্মদ আমান উল্লাহ,
মোহাম্মদ ইয়াকুব, জাবেদ, কমর ফারুক, মাহবুবু আলম, মোহাম্মদ খুরশেদ,ইঞ্জিনিয়ার ফজল করিম, রাশেদ প্রমুখ। উৎসবের শেষ পর্যায়ে ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৯১ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়।পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ফটিকছড়ির এই বর্ণাঢ্য ‘মেধা অন্বেষণ উৎসব–২০২৫’। অনুষ্ঠানটি ছিল শিক্ষা, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে এক অনন্য উদাহরণ— যা ফটিকছড়ির শিক্ষাঙ্গনে নতুন প্রেরণার সঞ্চার করেছে।
Tag :
সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল হাসান

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

“মেধা যাচাই নয়, মেধা বিকাশই আজকের চ্যালেঞ্জ “: ফটিকছড়িতে আসলাম চৌধুরী

Update Time : 12:04:24 pm, Tuesday, 7 October 2025
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার ৭ অক্টোবর অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মেধা অন্বেষণ উৎসব–২০২৫, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান’। দিনব্যাপী এ উৎসব প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বর্তমান ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মিলনমেলায় রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক মফিদুল ইসলাম মামুন।
সঞ্চালনা করেন মোবারক হোসেন রুবেল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক ও শিল্পপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি, বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী দলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী এফসিএ।
আসলাম চৌধুরী বলেন: “বৃত্তি পরীক্ষা মানে নিজের মেধাকে যাচাই করা নয়, বরং তা হলো আত্মমূল্যায়নের সুযোগ। নিয়মিত অধ্যয়নই সাফল্যের চাবিকাঠি। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের প্রতিদিন পড়ার টেবিলে বসার অভ্যাস গড়ে তোলা।”তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে জ্ঞান, নৈতিকতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার সমন্বয় ঘটাতে হবে। সুযোগ পেলে কাঞ্চননগর বিদ্যালয়কে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে কাজ করব।”শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে তিনি ঘোষণা দেন, “এই মাসের ১ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে যাদের জন্মদিন, তাদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং তিনি তা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন আহাম্মদ,
কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছরওয়ার আলম, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান।  ইউএনও মো:মোজাম্মেল হক চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন: “ফটিকছড়িবাসীর পক্ষ থেকে অধ্যাপক আসলাম চৌধুরীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ওনার মতো একজন নেতা ফটিকবাসীর বড় প্রয়োজন।খুব শিগগিরই কাঞ্চননগর বিদ্যালয় কলেজে রূপান্তরিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন”
উদ্বোধনী ঘোষণা দেন ডা. রাশেদুল হাসান তিনি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “কাঞ্চননগর একটি বৃহৎ ইউনিয়ন হলেও এখনো অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। আজ ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৯১ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। শিক্ষার মান উন্নত রাখতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন ছাত্র আনোয়ারুল আজিম,প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার,নাজমুল আলম চৌধুরী,ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল্লাহ মুন্না,বদিউল আলম তালুকদার,ফোরকান ও মহসিনুল কবির চৌধুরী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা এস এম আজিজ উল্লাহ,অহিদুল আলম, মোহাম্মদ আমান উল্লাহ,
মোহাম্মদ ইয়াকুব, জাবেদ, কমর ফারুক, মাহবুবু আলম, মোহাম্মদ খুরশেদ,ইঞ্জিনিয়ার ফজল করিম, রাশেদ প্রমুখ। উৎসবের শেষ পর্যায়ে ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৯১ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়।পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ফটিকছড়ির এই বর্ণাঢ্য ‘মেধা অন্বেষণ উৎসব–২০২৫’। অনুষ্ঠানটি ছিল শিক্ষা, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে এক অনন্য উদাহরণ— যা ফটিকছড়ির শিক্ষাঙ্গনে নতুন প্রেরণার সঞ্চার করেছে।