Dhaka 1:56 pm, Saturday, 11 October 2025

মণিরামপুরে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : 11:30:26 am, Thursday, 9 October 2025
  • 99 Time View
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ১৬নং নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবের বিরুদ্ধে টিসিবি কার্ড দিয়ে টাকা নেওয়া,জন্ম নিবন্ধন কার্ড করতে ঘুষ নেওয়া,ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেহালপুর ইউপি সচিবের নাম মিজানুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ড থেকে টিসিবি কার্ড দিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। নেহালপুর এলাকা থেকে বিভিন্ন লোক টিসিবির কার্ড একটিভ করতে গেলে নিচ্ছে ৫০টাকা নেহালপুর ইউপি তে দায়িত্বরত সচিব মো:মিজানুর রহমানের লোক নেহালপুর ইউনিয়নের বালিদাহ গ্রামের মো:রবিউল ইসলাম। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় এই টিসিবির কার্ড কিন্তু গ্রহীতাদের কাছ থেকে কার্ড প্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০টাকা করে এমনকি তাদেরকে টাকা না দিলে হতে হচ্ছে হয়রানির শিকার।
এখানেই শেষনয় নেহালপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো:রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর জন্য চারশত টাকা নেন নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব মো:মিজানুর রহমান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব মিজানুর রহমান,নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদে দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছেন এই সচিব। জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যুসনদ ও জন্মসনদ সংশোধনে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ পুরো ইউনিয়নবাসীকে জিম্মি করে রাখেক ইউপি সচিব মিজানুর রহমান।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ জানান, এই মিজানুর রহমান মানেই দুর্নীতির আখড়া। তার বাবার কিছুই ছিল না। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থাকায় আওয়ামী লীগের কয়েক নেতাকে ধরে সচিব পদে চাকরি নিয়েছেন। এখন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। প্রতি বছরেই জমি কিনছেন তিনি। গড়েছেন আলিশান বাড়ি। যদি দুর্নীতি না করতো তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে এতকিছু করা সম্ভব হতো না।
ভুক্তভোগী ছামিয়া খাতুন বলেন, সচিব মিজানুর রহমান আমার কাছে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের জন্য পাঁচশত টাকা দাবি করেছিলেন। পরে আমি তাকে নগদ চারশত টাকা দিয়েছি এবং বাকি একশত টাকা কার্ড নিবো যখন তখন দিবো বলে পরিষদ থেকে চলে আসছি। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক কয়েকজন বলেন ইউপি সচিব মিজানুর রহমান তার কাছের লোক বালিদাহ গ্রামের রবিউল ইসলাম কে দিয়ে টিসিবির কার্ড দিয়ে গ্রহীতাদের কাছ থেকে কার্ড প্রতি ৫০ টাকা করে নিচ্ছেন। এই ইউনিয়ন পরিষদে এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। এর ফলে জনগণের চমর ভোগান্তি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যাইনি। অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন সচিব মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না তিনি বলেন এখন আর আগের মতো নাই যে আপনি কিছু জানতে চাইলেই  আমি আপনাকে বক্তব্য দিব। এবিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসক নিশাত তামান্নার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি
Tag :
সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল হাসান

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

মণিরামপুরে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

Update Time : 11:30:26 am, Thursday, 9 October 2025
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ১৬নং নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবের বিরুদ্ধে টিসিবি কার্ড দিয়ে টাকা নেওয়া,জন্ম নিবন্ধন কার্ড করতে ঘুষ নেওয়া,ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়াসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেহালপুর ইউপি সচিবের নাম মিজানুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ড থেকে টিসিবি কার্ড দিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। নেহালপুর এলাকা থেকে বিভিন্ন লোক টিসিবির কার্ড একটিভ করতে গেলে নিচ্ছে ৫০টাকা নেহালপুর ইউপি তে দায়িত্বরত সচিব মো:মিজানুর রহমানের লোক নেহালপুর ইউনিয়নের বালিদাহ গ্রামের মো:রবিউল ইসলাম। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় এই টিসিবির কার্ড কিন্তু গ্রহীতাদের কাছ থেকে কার্ড প্রতি নেওয়া হচ্ছে ৫০টাকা করে এমনকি তাদেরকে টাকা না দিলে হতে হচ্ছে হয়রানির শিকার।
এখানেই শেষনয় নেহালপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো:রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর জন্য চারশত টাকা নেন নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব মো:মিজানুর রহমান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব মিজানুর রহমান,নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নেহালপুর ইউনিয়ন পরিষদে দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছেন এই সচিব। জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যুসনদ ও জন্মসনদ সংশোধনে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ পুরো ইউনিয়নবাসীকে জিম্মি করে রাখেক ইউপি সচিব মিজানুর রহমান।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ জানান, এই মিজানুর রহমান মানেই দুর্নীতির আখড়া। তার বাবার কিছুই ছিল না। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থাকায় আওয়ামী লীগের কয়েক নেতাকে ধরে সচিব পদে চাকরি নিয়েছেন। এখন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। প্রতি বছরেই জমি কিনছেন তিনি। গড়েছেন আলিশান বাড়ি। যদি দুর্নীতি না করতো তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে এতকিছু করা সম্ভব হতো না।
ভুক্তভোগী ছামিয়া খাতুন বলেন, সচিব মিজানুর রহমান আমার কাছে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের জন্য পাঁচশত টাকা দাবি করেছিলেন। পরে আমি তাকে নগদ চারশত টাকা দিয়েছি এবং বাকি একশত টাকা কার্ড নিবো যখন তখন দিবো বলে পরিষদ থেকে চলে আসছি। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক কয়েকজন বলেন ইউপি সচিব মিজানুর রহমান তার কাছের লোক বালিদাহ গ্রামের রবিউল ইসলাম কে দিয়ে টিসিবির কার্ড দিয়ে গ্রহীতাদের কাছ থেকে কার্ড প্রতি ৫০ টাকা করে নিচ্ছেন। এই ইউনিয়ন পরিষদে এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। এর ফলে জনগণের চমর ভোগান্তি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যাইনি। অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন সচিব মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না তিনি বলেন এখন আর আগের মতো নাই যে আপনি কিছু জানতে চাইলেই  আমি আপনাকে বক্তব্য দিব। এবিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসক নিশাত তামান্নার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি