টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ১৮ বছর বয়সী এক বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী হিন্দু কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন (৫৫) উপজেলার নারান্দিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ঘটনার পর জেলা বিএনপি তাকে দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করেছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিবন্ধী কিশোরী ও অভিযুক্ত ইসমাইলের বাড়ি পাশাপাশি। গত মার্চ মাসে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন ইসমাইল। ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি মেয়েটি। পরে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের সন্দেহ হয়। লিখে ও ইশারার মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত জানায় কিশোরীটি।ভুক্তভোগীর বাবা-মা বলেন, “আমাদের বোবা মেয়েটি এসএসসি পাস করেছে। ভবিষ্যতে কিছু করার স্বপ্ন ছিল তার। ইসমাইল সেই স্বপ্ন ও আমাদের সম্মান দুটোই নষ্ট করেছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

কালিহাতী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক নীরু ব্যানার্জি এবং সদস্য সচিব মানিক ভট্টাচার্য ঘটনাটিকে নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, “এ ধরনের অপরাধের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।”

এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও সহপাঠীরা দ্রুত আসামিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, “ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। শনিবার মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

এদিকে শুক্রবার টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেনকে দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।