
শেখ শহিদুল ইসলাম মিঠু, খুলনা, ফুলতলা
খুলনা দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার ৭ বছরের শিশু জিসানের হত্যার সঙ্গে জড়িত ফয়সালের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। রবিবার( ১২ অক্টোবর ) বেলা আনুমানিক সোয়া ১১ টার দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এবং মন্ডল মিলের শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে ফয়সালের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। নিহত জিসানের পিতা মো:আলমগীর হোসের বাদী হয়ে রবিবার ফয়সালসহ তাঁর পিতা মাতাকে আসামি করে দিঘলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন মামলা নম্বর ৪ তাং১২/১০/২০২৫।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ফয়সাল (২৫) মাতা মাহিনুর বেগম ( ৪৫) কে গ্রেফতার করেছে। দিঘলিয়া থানা সেকেন্ড অফিসার এস আই লিটন কুমার মন্ডল বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু জিসানের ময়না তদন্ত শেষে তার মৃতদেহ পিতার গ্রামের বাড়ি শেরপুরে দাফন করা হবে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ফয়সাল তার পিতা জিএম হান্নন ও তার মাতা মাহিনুর বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ঘটনা তথ্য উদঘাটনের জন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে শিশু জিসানকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ফাঁসির দাবি জানিয়ে
মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, দেয়াড়া এলাকাবাসী এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দিয়াড়া খেয়াঘাটে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন শেখ আবু জাফর, অধ্যাপক মনিবুর রহমান, শেখ মাহবুব আলম, মোল্লা নাজমুল হক, মোঃ জহিরুল ইসলাম, জিয়াউদ্দিন মিলটন, মোল্লা রাজু আহমেদ, মাহমুদুল হাসান মিঠু,আব্দুল কাদের জনি, মোঃ জাফর মইন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিষ্পাপ শিশুর জিসানকে ফয়সাল ও তাঁর পিতা হান্নান এবং তার পরিবার কর্তৃক নির্মাণভাবে, হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি করেন। উল্লেখ্য, শনিবার (১১ অক্টোবর)বিকালে দেয়াড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন জিএম হান্নান হোসেনের বাড়ির উঠান থেকে হাত পা বাধা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো বস্তার ভেতর থেকে শিশু জিসানের মৃতদেহ উদ্ধার করে দিঘলিয়া থানা পুলিশ এবং যৌথ বাহিনী, বৃহস্পতিবার( ৯ অক্টোবর) বিকাল আনুমানিক তিনটার দিকে নিহত জিসান পার্শ্ববর্তী তার চাচার বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়, এরপর থেকে জিসান নিখোঁজ হয়।