Dhaka 4:24 am, Thursday, 6 November 2025

‎দুমকিতে নারীকে মারধর ও ঘর লুটপাটসহ প্রাণনাশের হুমকি

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:52:22 am, Wednesday, 5 November 2025
  • 60 Time View

মোঃ সজিব সরদার, ক্রাইম রিপোর্টার

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মোসাঃ ফাতেমা বেগম (৫০)। প্রাণনাশের আশঙ্কা জানিয়ে তিনি রবিবার দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

‎‎জানা গেছে, মুরাদিয়া সাকিনের জে.এল. নং–২৭, এসএ রেকর্ডীয় খতিয়ান নং–৮৫৫, দাগ নং–৩০২৭-এর মোট ৩২ শতক জমির মূল মালিক ছিলেন দুই ভাই বিশ্বেসর দাস ও নলিত দাস। পরে বিএস খতিয়ান নং–৮১৪ ও দাগ নং–৩০১৩ হিসেবে ১৭ শতকের মালিক হন বিশ্বেসর দাসের ছেলে রমেশ চন্দ্র দাস এবং দাগ নং–৩০১৯ হিসেবে ১৫ শতক জমির মালিক হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হন নলিত দাস। এর মধ্যে রমেশ চন্দ্র দাসের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ফাতেমা বেগম। অপরদিকে নলিত দাসের জমি ক্রয় করেন ইউনুস শিকদার।

‎‎বিএস জরিপে জমির মালিকানা সংক্রান্ত ভুলের অভিযোগ তুলে স্থানীয় ইউনুস সিকদার একটি রেকর্ড–সংশোধন (রেকর্ডস্যূট) মামলা দায়ের করেছেন, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ‎অভিযোগে আরও বলা হয়, সম্প্রতি নিজের জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করলে বিবাদীরা ঘর ভেঙে নিতে চাপ দেয় ফাতেমা বেগমকে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে ইউনুস সিকদারের ছেলে ও তার নেতৃত্বে কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ফাতেমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।

‎ফাতেমা বেগম বলেন, ‘বিবাদীরা এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এখন তারা আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।’

‎‎হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস সিকদার বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে থানার গোলঘরে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রোয়েদাদ প্রায় শেষের পথে ছিল। এমন সময় সালিশ বাবুল মাস্টার ও ফতু কিছু না বলেই চলে যান। বাকি সালিশেরা আমাকে রোয়েদাদ করে দিয়েছেন।’‎ফাতেমা বেগমের ঘর ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কে জানি রাতের আঁধারে আমার জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলেছিল, আবার কারা জানি সেটা ভেঙে নিয়ে গেছে।’দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Tag :
সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল হাসান

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যু

‎দুমকিতে নারীকে মারধর ও ঘর লুটপাটসহ প্রাণনাশের হুমকি

Update Time : 08:52:22 am, Wednesday, 5 November 2025

মোঃ সজিব সরদার, ক্রাইম রিপোর্টার

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মোসাঃ ফাতেমা বেগম (৫০)। প্রাণনাশের আশঙ্কা জানিয়ে তিনি রবিবার দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

‎‎জানা গেছে, মুরাদিয়া সাকিনের জে.এল. নং–২৭, এসএ রেকর্ডীয় খতিয়ান নং–৮৫৫, দাগ নং–৩০২৭-এর মোট ৩২ শতক জমির মূল মালিক ছিলেন দুই ভাই বিশ্বেসর দাস ও নলিত দাস। পরে বিএস খতিয়ান নং–৮১৪ ও দাগ নং–৩০১৩ হিসেবে ১৭ শতকের মালিক হন বিশ্বেসর দাসের ছেলে রমেশ চন্দ্র দাস এবং দাগ নং–৩০১৯ হিসেবে ১৫ শতক জমির মালিক হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হন নলিত দাস। এর মধ্যে রমেশ চন্দ্র দাসের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ফাতেমা বেগম। অপরদিকে নলিত দাসের জমি ক্রয় করেন ইউনুস শিকদার।

‎‎বিএস জরিপে জমির মালিকানা সংক্রান্ত ভুলের অভিযোগ তুলে স্থানীয় ইউনুস সিকদার একটি রেকর্ড–সংশোধন (রেকর্ডস্যূট) মামলা দায়ের করেছেন, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ‎অভিযোগে আরও বলা হয়, সম্প্রতি নিজের জমিতে একটি ঘর নির্মাণ করলে বিবাদীরা ঘর ভেঙে নিতে চাপ দেয় ফাতেমা বেগমকে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে ইউনুস সিকদারের ছেলে ও তার নেতৃত্বে কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী ফাতেমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।

‎ফাতেমা বেগম বলেন, ‘বিবাদীরা এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এখন তারা আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।’

‎‎হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস সিকদার বলেন, ‘গত শুক্রবার সকালে থানার গোলঘরে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রোয়েদাদ প্রায় শেষের পথে ছিল। এমন সময় সালিশ বাবুল মাস্টার ও ফতু কিছু না বলেই চলে যান। বাকি সালিশেরা আমাকে রোয়েদাদ করে দিয়েছেন।’‎ফাতেমা বেগমের ঘর ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কে জানি রাতের আঁধারে আমার জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলেছিল, আবার কারা জানি সেটা ভেঙে নিয়ে গেছে।’দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’