Dhaka 12:22 pm, Monday, 20 October 2025

সৈয়দপুর পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বাড়াতে চলছে ব্যাপক উন্নয়নকাজ

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:20:13 am, Wednesday, 1 October 2025
  • 134 Time View
তৌসিফ রেজা, (সৈয়দপুর) নীলফামারী
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে জোরেশোরে চলছে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প। শহরের পাড়া-মহল্লাজুড়ে রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বাজার অবকাঠামো আধুনিকায়নের উদ্যোগ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।সরকারের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে অর্থায়িত এসব প্রকল্পের আওতায় ১২টি কাজ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ৩টি ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে, আর বাকি ৯টি বাস্তবায়নাধীন। প্রকল্পগুলোতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টানা বর্ষণের কারণে কিছু কাজে বিলম্ব হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো শেষ হবে।পৌরসভার দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অতীতে বাজেট ঘাটতির কারণে ১৫টি ওয়ার্ডেই নাগরিক সেবা প্রায় ভেঙে পড়ে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা একাধিকবার মিছিল, মানববন্ধন, এমনকি পৌরসভা ঘেরাও করতে বাধ্য হন। কিন্তু প্রতিবারই বাজেট ঘাটতির অজুহাতে কাজ স্থগিত রাখা হতো।পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটে গেল বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর পরপরই সেপ্টেম্বর মাসে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি দায়িত্ব নিয়েই রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, সুধিজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠক করেন। সেখানে উঠে আসে শহরের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা।
প্রশাসনিক উদ্যোগ ও প্রাপ্ত পরামর্শের ভিত্তিতে ‘কোভিড-১৯’ এবং ‘উন্নয়ন সহায়তা তহবিল’-এর আওতায় শতাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। শহরের সর্বত্র শুরু হয় রাস্তা সংস্কার, নতুন ড্রেন ও কালভাট নির্মাণের কাজ। অধিকাংশ প্রকল্প ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, বাকিগুলো দ্রুত শেষ হবে বলে জানা গেছে।উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের ১২টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫ দশমিক ১৬২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার, ২ দশমিক ৯৩৮ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ এবং পৌর সুপার মার্কেট আধুনিকায়ন। এগুলো শেষ হলে নাগরিক যাতায়াতের দুর্ভোগ কমে আসবে এবং বর্ষায় জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হবে।এছাড়া দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে রিজিলিয়েন্ট আরবান টেরিটোরিয়াল ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইউটিডিপি)-এর আওতায় ২টি বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রক্রিয়াধীন এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে শেরেবাংলা ও শহীদ জহুরুল হক সড়কের ৭ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার, একই দূরত্বে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ এবং সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ হবে। ইতোমধ্যে দরপত্র খোলা হয়েছে, খুব শিগগিরই কার্যাদেশ দেওয়া হবে।সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক জানান, কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক তদারকি চলছে। নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, “শহরের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রকল্প বাছাই করা হয়েছে। এগুলো শেষ হলে সড়ক ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বহুলাংশে উন্নত হবে।পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, “সৈয়দপুরের উন্নয়নে অনেক কাজ করার প্রয়োজন আছে। একসঙ্গে সব সম্ভব নয়, তবে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে আধুনিক পৌরসভা গড়ে তোলা সম্ভব।”
Tag :
সম্পাদক ও প্রকাশক : আবুল হাসান

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয়

ঢাকায় শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সৈয়দপুরে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ

সৈয়দপুর পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বাড়াতে চলছে ব্যাপক উন্নয়নকাজ

Update Time : 08:20:13 am, Wednesday, 1 October 2025
তৌসিফ রেজা, (সৈয়দপুর) নীলফামারী
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে জোরেশোরে চলছে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প। শহরের পাড়া-মহল্লাজুড়ে রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বাজার অবকাঠামো আধুনিকায়নের উদ্যোগ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।সরকারের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে অর্থায়িত এসব প্রকল্পের আওতায় ১২টি কাজ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ৩টি ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে, আর বাকি ৯টি বাস্তবায়নাধীন। প্রকল্পগুলোতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টানা বর্ষণের কারণে কিছু কাজে বিলম্ব হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো শেষ হবে।পৌরসভার দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অতীতে বাজেট ঘাটতির কারণে ১৫টি ওয়ার্ডেই নাগরিক সেবা প্রায় ভেঙে পড়ে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা একাধিকবার মিছিল, মানববন্ধন, এমনকি পৌরসভা ঘেরাও করতে বাধ্য হন। কিন্তু প্রতিবারই বাজেট ঘাটতির অজুহাতে কাজ স্থগিত রাখা হতো।পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটে গেল বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। এর পরপরই সেপ্টেম্বর মাসে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি দায়িত্ব নিয়েই রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী, সুধিজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠক করেন। সেখানে উঠে আসে শহরের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা।
প্রশাসনিক উদ্যোগ ও প্রাপ্ত পরামর্শের ভিত্তিতে ‘কোভিড-১৯’ এবং ‘উন্নয়ন সহায়তা তহবিল’-এর আওতায় শতাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। শহরের সর্বত্র শুরু হয় রাস্তা সংস্কার, নতুন ড্রেন ও কালভাট নির্মাণের কাজ। অধিকাংশ প্রকল্প ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, বাকিগুলো দ্রুত শেষ হবে বলে জানা গেছে।উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের ১২টি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫ দশমিক ১৬২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার, ২ দশমিক ৯৩৮ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ এবং পৌর সুপার মার্কেট আধুনিকায়ন। এগুলো শেষ হলে নাগরিক যাতায়াতের দুর্ভোগ কমে আসবে এবং বর্ষায় জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান হবে।এছাড়া দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে রিজিলিয়েন্ট আরবান টেরিটোরিয়াল ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইউটিডিপি)-এর আওতায় ২টি বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রক্রিয়াধীন এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে শেরেবাংলা ও শহীদ জহুরুল হক সড়কের ৭ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার, একই দূরত্বে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ এবং সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ হবে। ইতোমধ্যে দরপত্র খোলা হয়েছে, খুব শিগগিরই কার্যাদেশ দেওয়া হবে।সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক জানান, কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক তদারকি চলছে। নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, “শহরের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রকল্প বাছাই করা হয়েছে। এগুলো শেষ হলে সড়ক ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বহুলাংশে উন্নত হবে।পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, “সৈয়দপুরের উন্নয়নে অনেক কাজ করার প্রয়োজন আছে। একসঙ্গে সব সম্ভব নয়, তবে ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে আধুনিক পৌরসভা গড়ে তোলা সম্ভব।”