আম্মু ছাতা দাও বৃষ্টি পড়ছে কুয়াশা ঘেরা শীতের সকাল
মোঃ শাহিন মিয়া নিজস্ব প্রতিবেদন
পঞ্চম শ্রেণীর একটি স্টুডেন্ট সকালবেলা ঘর থেকে স্কুলের জন্য বেরিয়ে কুয়াশা দেখে বলছে আম্মু ছাতা দাও বৃষ্টি পড়ছে। ছেলেটির নাম মোঃ সাইমন। আব্দুল মালেক মাস্টারের স্কুল এন্ড কলেজ। সেই ছোটবেলা রচনাটি পড়েছিলাম কুয়াশা ঘেরার শীতের সকাল। এখন তার উল্টো টা কুয়াশা ঘেরা সারাদিন শীত। নেই আলো নেই সূর্য নেই দিনের ছোঁয়া শুধু কুয়াশা আর কুয়াশা অস্থিরতায় ভুগছেন জনজীবন ও পশু পাখি। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর হিলি জয়পুরহাট বগুড়া কিশোরগঞ্জ সিলেট ময়মনসিংহের গাজীপুর নরসিংদী নারায়ণগঞ্জ রাজবাড়ী ফরিদপুর আরো অনেক উপজেলা কনকনে শীত হিমেল বাতাস আর ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল থেকেই বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। দিনে ও রাতে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। খড় খূটা শুকনো কাট জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে অনেকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে অনেক অংশে। গত এক সপ্তাহ জুড়ে সূর্যের দেখা না মেলায় ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে এক এক এলাকায়। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিছু কিছু ৮:৬ ৮:৯ ১১:৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং এক তথ্য থেকে ভারতে ৩:৩। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল নয়টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১:৪ ডিগ্রএবং অন্যদিকে ৮:৬ ৮:৯ সংবাদ সূত্রে ভারত ৩:৩ সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ। গতকাল একই সময় তাপমাত্রা ছিল ৯:৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। দিনের তাপমাত্রা কমে রাতের তাপমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে দিন মজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন কাজে বের হলেও প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে রয়েছে অনেকে। বিশেষ করে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাহিল হয়েছে পড়েছে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ও বিভিন্ন উপজেলার মানুষগুলো। শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবীরা। অপর দিকে বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালে বেড়েছে ঠাণ্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু রোগী। আমি একটি এলাকার পঞ্চম শ্রেণীর স্টুডেন্টের সাথে কথা বলেছি নাম মোঃ সাইমন। বলেন, আমাদের এলাকায় গত এক সপ্তাহ জুড়ে সূর্যের দেখা নাই। তাই এ এলাকায় কয়েকদিন থেকে খুব ঠাণ্ডা। ঠাণ্ডা হিমেল বাতাসে ঘর থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। শ্রমজীবী মানুষরা কাজের ঘর থেকে বাহির হতে পাড়ছে না। গাজীপুর সদর উপজেলার নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এরফান আলী পাঠান আমি খুব অসুস্থ বলেন, এ এলাকায় গত এক সপ্তাহ থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। যার ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে অনেক অংশে। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে হঠাৎ করে ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধর সংখ্যা বেশি। চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকরা। দিনাজপুর প্রতিনিধির তথ্য মতে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত রায় জানান, গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তাই এ উপজেলায় কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলায় শীত নিবারণে ২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ ধরনের কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।বিভিন্ন উপজেলা শীত বস্ত্র বিতরণ চলছে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।