এইচআইভি, করোনা সহ অন্যান্য ভাইরাস প্রতিরোধে “ঢাকা আহসানিয়া মিশন শার্শায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত
যশোর থেকে স্টাফ রিপোর্টার তামিম হোসেন,
ঢাকা আহসানিয়া মিশন(ড্যাম) কনসর্টিয়াম এর উদ্যোগে যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় এইচআইভি,ডেঙ্গু,চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে করনীয় কর্মসূচি’র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার(৩০ অক্টোবর) সকাল ১২টায় শার্শা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) নারায়ণ চন্দ্র পাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-মোঃ সিরাজুল হক মঞ্জু(চেয়ারম্যান, শার্শা উপজেলা পরিষদ, সভাপতি,শার্শা উপজেলা আ.লীগ)।
বিশেষ অতিথি বর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ডাঃ আব্দুস সালাম(স্বাস্থ্য কর্মকর্তা,শার্শা উপজেলা),মোঃ তহিদুল ইসলাম(সমাজসেবা কর্মকর্তা),মোছাঃ আমেনা বেগম(ছেকমো,আহসানিয়া মিশন,বেনাপোল শাখা)।
এইচআইভি,ডেঙ্গু,চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের এই কর্মসূচি’র সমাবেশে শার্শা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভা এলাকার আহসানিয়া মিশনের ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ এতে অংশ নেন।
সমাবেশের ঐ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মোঃ সিরাজুল হক মঞ্জু বলেন, “এইডস একটি মরণব্যাধী বাংলাদেশে অদ্যাবধি সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার তুলনামূলক কম হলেও অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডসের ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক। এইডস নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি ও লোকলজ্জা কাজ করে, যে কারণে এখনও বহু মানুষ তাদের নিজেদের অবস্থা তথা এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের তথ্য জানায় না। বর্তমানে এইডসের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও মরণঘাতি এ রোগের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। এইডসের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। তাই এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন”।
তিনি আরও বলেন,”ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ে শুরু হয়েছে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা। রুখতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন। এডিস মশার কারণে এ রোগের উৎপত্তি,এ থেকে বাঁচতে বাড়ীর আঙ্গিনার ফুলের টব, টায়ার, ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের খালি বোতল, নির্মিত/নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে জমে থাকা পানি পরিস্কার করতে হবে। জমে থাকা পানি থেকে এডিস মশার জন্ম হয়। একটু সচেতন হলে এ রোগের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব”
সবশেষে তিনি জনসচেতনতা মূলক এমন মহৎ কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করায়, সমাবেশের আয়োজক “ঢাকা আহসানিয়া মিশন” এর কর্মকর্তা এবং উপস্থিত সকল অতিথিদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান।
কর্মসূচির এজেন্ডায় আলোচিত “মাস্ক” পরিধানের বিষয়টি নিয়ে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়। উপস্থিত অতিথি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-ডাঃ আব্দুস সালাম বলেন,”কোভিড-১৯”র ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠলেও,এ রোগ সম্পর্কে উদ্বেগ,উৎকন্ঠা আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে একটু সচেতন হলে,করোনা ভাইরাসের মত কঠিন রোগ আমরা সমূলে দুর করতে পারবো। সে জন্য আমাদেরকে মুখ ঢেকে “মাস্ক” পরতে হবে,টিকা গ্রহণের পরও “মাস্ক” ব্যবহার আবশ্যকীয়,সেই সাথে ঘণ ঘণ হাত ধোয়া ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে,সকলকে মনে রাখতে হবে-করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও সুস্থ স্বাভাবিক ব্যাক্তি কেউই “মাস্ক” না পরলে উচ্চ ঝুকির আশংকা থাকে ৯৫%,আবার উভয় ব্যাক্তি “মাস্ক” পরলে নিন্ম ঝুকির আশংকা থাকে ৫%। অতএব,”মাস্ক” পরুণ,নিরাপদে থাকুন”।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন-উজ্জল ফকির( ম্যানেজার,ঢাকা আহসানিয়া মিশন,বেনাপোল শাখা)।