ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ জুন ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অভিযোগ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন ও বিচার
  9. আওয়ামী লীগ
  10. আওয়ামী লীগে
  11. আক্রান্ত
  12. আটক
  13. আত্মহত্যা
  14. আদালত
  15. আনন্দ মিছিল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কোরবানির ঈদে ব্যস্ততা বেড়েছে জগন্নাথপুরের খামারিদের

Link Copied!

মো: আল আমীন, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

পবিত্র ঈদুল আযহা আসন্ন। এ মাসে পালিত হবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় ধর্মীয়
উৎসব। এ দিনে আল্লাহ-তায়ালার সন্তুষ্টি কামনায় কোরবানি করা হবে লাখ লাখ পশু। উৎসবটিকে সামনে
রেখে তাই গবাদিপশু পালনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের
খামারিরা।
জানা যায়, উপজেলার ছোট বড় মিলে প্রায় দুইশত গরুর খামার রয়েছে। প্রত্যেক খামারে দেশী গরু ও নেপালী গরু
নিয়ে ফার্ম ঘড়ে তুলেছেন খামারিরা। এই সব খামারিরা দেশি ও বিদেশী গুরু দিয়ে ফার্ম গুলো শুরু করেন। প্রথমে
দেশী গরু দিয়ে ফার্মটি শুরু করলেও তারা কম লাভ হওয়ায় বিদেশী গরু দিয়ে খামার গুলোকে পরিপূর্ণ করেছেন।
তাদের খাবারের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের দেশি খাদ্য। সার্বক্ষণিক চলছে চিকিৎসা সহ বিভিন্ন
ধরনের পরিচর্যা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার ছোট বড় দুইশত খামারে এভাবেই আদর-যত্নে
লালিত হচ্ছে গরু। ২৪ ঘণ্টা এমন পরিচর্যা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এসব খামারে বেড়ে ওঠা গরুগুলো
হয়ে উঠছে হৃষ্টপুষ্ট ও সুন্দর।
এ ব্যাপারে মেসার্স সাজনা এগ্রো ফার্মের পরিচালক শাহাদাদ হোসেন জানান, ২০২২ সাল থেকে এই খামারটি
শুরু করি। প্রথমে সাতটি দেশি প্রজাতির ষাঁড় কিনে মোটাতাজা শুরু করি। এখন বর্তমানে তার খামারে দেশী
বিদেশী সহ বিশটি ষাঁড় রয়েছে। বাড়িতেই ষাঁড়গুলো পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাহায্য সহযোগিতায় লালন
পালন করে আসছেন। কোরবানির ঈদে গরুগুলো বিক্রি করবেন। কোনো অসাধু পন্থা অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ
প্রাকৃতিকভাবে নিজের জমিনে উৎপাদন করা খাস, খড়, খৈল, ভুসি ও কাঁচা ঘাস খাইয়ে গরুগুলোকে মোটাতাজা
করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করা খরচ একটু বেশি হলেও, পশু কোনো রকমের ঝুঁকির মধ্যে থাকে
না।
মেসার্স মাহি এগ্রো গবাদি খামারের মালিক হাজী এখলাছুর রহমান আখলই জানান, আমার শখ ছিল গরুর খামার
করার এই শখ থেকে খামারটি শুরু করি। সকলের সহযোগিতা আমার খামারটি ভালভাবে চলছে। এখানে দেশি ও
বিদেশী গুরু রয়েছে। কুরবানীর ঈদে আমার গরু গুলো বিক্রয় করে থাকি। বর্তমানে খামারে থাকা গরুগুলোকে আমি
সন্তানের মতো লালন করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, এই উপজেলায় প্রায় ছোট বড় প্রায় দুই
শতটি খামার রয়েছে। এবার তেরটি গরুর হাটে পশু গুলো বিক্রয় হবে। এই উপজেলার দুইটি স্থায়ী হাট সহ
অস্থায়ী হাট গুলোতে পশুগুলো বিক্রয় করা হচ্ছে। বিশেষ করে রানীগঞ্জ ও রসুলগঞ্জ বাজারের বড় পশুর হাট
বসে। কোনো ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করেই দেশিয় পদ্ধতিতে গরু মোটা তাজা করছেন
খামারিরা। ভারতীয় পশুর আমদানি না করেই এবার দেশীয় গুরু দিয়ে উপজেলার কুরবানীর চাহিদা পুরণ করা হবে।
আমরা উপজেলার খামারিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দিয়ে আসছি।##

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

Design & Developed by BD IT HOST