চাঞ্চল্যকর অপহরণ মামলার রহস্য উন্মোচন ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী গ্রেফতার
মোঃ সালাউদ্দিন:-
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার গুমতী ইউনিয়নের মতিন কুমার ত্রিপুরা,তার ছোট মেয়ে লাফি ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গার গুমতী বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী, প্রতি দিনের নিয়মে স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় মাটিরাঙ্গা থানায় দায়ের করেন অপহরণ মামলা । গত ১০ জানুয়ারি সকালে লাফি ত্রিপুরা তার নিজ বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা করে। অতঃপর প্রতি দিনের মত বিকেলে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও ঘটনার দিনের সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও ভিকটিম লাফি ত্রিপুরা, বাড়ি না ফিরলে বাদী সহ বাদীর আত্নীয় স্বজন আশে পাশেসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে ভিকটিমকে না পেয়ে গত ১১ জানুয়ারি লাফি ত্রিপুরার বাবা মতিন কুমার ত্রিপুরা,মাটিরাঙ্গা থানায় হাজির হয়ে একখানা অপহরণ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি রবিবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞতিতে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। উক্ত ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ঘটনার স্পর্শকাতরতা উপলব্ধি করে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে সুদক্ষ দিক- নির্দেশনায় খাগড়াছড়ি জেলার একাধিক চৌকস দল ঘটনার অনুসন্ধান করে। অনুসন্ধান কালে ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক সনাতন পদ্ধতিতে প্রাপ্ত তথ্য সমুহকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্লেষণ পূর্বক নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ভিকটিম লাফি ত্রিপুরাকে ধৃত আসামী মোঃ ওয়াদুদ হোসেন প্রকাশ বাবু (১৯), সহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামীগণ যোগসাজশে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ধৃত আসামী মোঃ ওয়াদুদ হোসেন প্রকাশ বাবু (১৯), খাগড়াছড়ি জেলার, মাটিরাঙ্গা থানাধীন, ৪নং গুমতী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বান্দরছড়া এলাকার মোঃ আবুল কাশেম ও আমেনা খাতুনের ছেলে। পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায়,খাগড়াছড়ি জেলার একটি চৌকস দল দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে, উক্ত ক্লুলেস ঘটনার মুল আসামী মোঃ ওয়াদুদ হোসেন প্রকাশ বাবু (১৯),কে কুমিল্লা জেলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীর দেওয়া তথ্য মতে ভিকটিম লাফি ত্রিপুরাকে, ঢাকা জেলার সাভার থানা থেকে উদ্ধার করা হয়। খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, বর্নিত আসামীর দোষ স্বীকারোক্তি মুলক, প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অপর আসামীদেরকে গ্রেফতারের বিষয়ে অভিযান চলমান আছে। ধৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।