ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২২ জুন ২০২৩
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অভিযোগ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন ও বিচার
  9. আওয়ামী লীগ
  10. আওয়ামী লীগে
  11. আক্রান্ত
  12. আটক
  13. আত্মহত্যা
  14. আদালত
  15. আনন্দ মিছিল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূত্রবধূ, ওসি ও ডিআইজির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন বৃদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২২, ২০২৩ ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূত্রবধূ ওসি ও ডিআইজির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন বৃদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূত্রবধূ সালমা আক্তার কর্তৃক মঠবাড়িয়া থানার ওসি এবং বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির প্রত্যক্ষ মদদে প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানির প্রতিবাদে আজ ২১জুন বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদী অবস্থান ও সংবাদ সম্মেলন করেছে আলকাজ উদ্দিন নামের এক বৃদ্ধ। গণমাধ্যমে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন-
আমি একজন ৭৩ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ। আমি বাটন মোবাইলও ঠিকমতো চালাতে পারিনা শুধুমাত্র কল রিসিভ করা ছাড়া অথচ আমি একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আসামী। এক প্রতারক তরুণী কর্তৃক ও কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তাদের যোগশাজশে লাগাতার হয়রানির শিকার হয়ে আপনাদের সম্মুখে আসতে বাধ্য হয়েছি। মূলত, মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের দেবত্র গ্রামের রত্তন তালুকদারের মেয়ে সালমা আক্তার আমার বড় ছেলের ২য় স্ত্রী। সে ইতোমধ্যে আমাদের অন্তত ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যা আদালতে প্রমাণিত কিন্ত তারপরও সে দীর্ঘদিন যাবত আরো মোটা অংকের অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে আমার পরিবারকে ভয়ানকভাবে হয়রানি করে আসছে বিভিন্ন থানা ও আদালতে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ এবং মামলা দিয়ে। সালমা বেগমের সকল অভিযোগ ও মামলা আদালত ও পুলিশের তদন্তে বরাবরই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। উপরন্ত আমরা তার হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে সালমার বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া মোকাম বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি (সূত্র- মোকাম মঠবাড়িয়া উপজেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে – এমপি কেস নং- ৪৮৮/২০২২)। সেই মামলায় সালমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদনও হয়। এবং আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি বিষয়টি তুলে ধরে একটি গণমাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্ট (ভিডিও প্রতিবেদন) ও প্রিন্ট পত্রিকায়ও সকল তথ্যপ্রমাণসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সম্প্রতি। এতে সালমা র প্রতারণার মুখোশ উন্মোচিত হলে সে ক্ষুব্ধ হয় এবং সে আমাদের হয়রানির নতুন পথ খুঁজতে থাকে। অবশেষে সে বিভিন্ন কৌশলে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি আক্তারুজ্জামান কে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়৷ এবং বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজিও আমাদের সাথে অন্যায়ভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ শুরু করে। ২৯ বছর বয়সী সালমা আক্তার নিজেকে কলেজ ছাত্রী ও অসহায় বাচ্চা মেয়ে পরিচয় দিয়ে ডিআইজি আক্তারুজ্জামান কে আবেগতাড়িত করেছে বলে আমাদের ধারণা। ঠিক এ কারণেই উভয় পক্ষের মামলা আদালতে চলমান থাকার পরও বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি আক্তারুজ্জামান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রতারক সালমার পক্ষ নিয়ে পর পর ২ টি ভিত্তিহীন মনগড়া ও একপেশে কল্পকাহিনী নির্ভর পোস্ট করেন৷ ঐ পোস্টে ডিআইজি আক্তারুজ্জামান প্রতারক বিএনপি নেত্রী সালমাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুকণ্যা শেখ হাসিনার সাথেও তুলনা করেন৷ পরবর্তীতে বিভিন্ন সচেতন মানুষের প্রতিবাদের জেরে তিনি ফেসবুক থেকে পোস্টগুলো ডিলেট করলেও স্কিনশট রয়ে গেছে। একজন উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার এমন সেচ্ছাচারিতামূলক আচরণে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই৷ কিন্ত আসলে সালমা আক্তার কয়েকবছর ধরে কলেজে পড়ে না এমন প্রমাণও আছে আমাদের কাছে। এমনকি সালমা আক্তার লন্ডন প্রবাসী এক বিএনপি নেতার নির্দেশে কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তাকে টার্গেট করে প্রতারণা করে যাচ্ছে মর্মে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

সালমার অপকর্ম নিয়ে প্রথম যে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়, তার জের ধরে ডিআইজি আক্তারুজ্জামান এর নির্দেশে গত ১১ মে ২০২৩ইং বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮ টায় মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার আমাকে থানায় ডাকেন। আমি আমার দূর সম্পর্কের নাতি আল আমিন কে সাথে নিয়ে মঠবাড়িয়া থানায় হাজির হই। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমার নাতি আল আমিনকে থানার হাজতে বন্দি করে এবং ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার আমাকে বলে ওপরের নির্দেশ আছে, সাংবাদিককে কল করে সালমার বিরুদ্ধে যে নিউজ আছে তা ডিলেট করান নয়তো আপনার নাতিকে মামলা দিয়ে চালান করে দেবো। এরপর আমার কাছ থেকে ঐ রিপোর্ট করা সাংবাদিক মেহেদী হাসান এর নম্বর নিয়ে তাকে কল করে ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার নিউজ ডিলেট করতে বলে নতুবা সাংবাদিককেও ফাঁসিয়ে দেবার কথা বলে। এরপর সাংবাদিক কর্তৃক প্রমাণসহ প্রকাশ করা ভিডিও রিপোর্টটি ফেসবুক থেকে ডিলেট করা হলে আমার নাতি আল আমিনকে হাজত থেকে বের করা হয়। কিন্ত আমাকে ও আমার নাতিকে সারা রাত থানায় বসে থাকতে বাধ্য করে পরদিন দুপুর ২ টায় ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার একটি সাদা কাগজে আমাকে সাক্ষর দিতে বলে। আমি ওসিকে জিজ্ঞেস করি কাগজে কিছু লেখা নেই কেনো? তখন ওসি বলে অপারেটর আসলে বাকীটা লিখে নেবো আপনি সই দেন। এরপর আমি সেই কাগজে সই দেই। অত;পর ওসি কামরুজ্জামান আমাকে বলে সালমা কে যেনো ২ লাখ টাকা দেই এতে সে আমাদের আর হয়রানি করবে না। কিন্ত আমি বার বার যুক্তি দিয়ে বলতে থাকি আমার পূত্রবধূ সালমার প্রতারণার বিষয়টি বিভিন্ন তদন্তে প্রমাণিত। সে আজ পর্যন্ত কেবলমাত্র হয়রানি করা ছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও কোথাও প্রমাণ করতে পারেনি। তাহলে কেনো আমরা তাকে টাকা দেবো? তখন ওসি কামরুজ্জামান বলেন কখনো কখনো হয়রানি থেকে বাঁচতে টাকা দিতে হয়৷ কিছু করার নাই। কিন্তু অন্যায়ভাবে আমার পূত্রবধূ চিহ্নিত প্রতারক সালমা আক্তারকে কোন টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় সে ডিআইজি ও পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের লাগাতার হয়রানির হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া পুলিশ কর্তৃক বেআইনি ভাবে আমার পরিবারকে থানা হাজতে আটকে রাখা, সাদা কাগজে সাক্ষর রাখা, ও প্রতারক সালমাকে টাকা দিতে বলা পুরো বিষয়টিতে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি আক্তারুজ্জামান এর নির্দেশে পুলিশকে ব্যবহার করে জোর পূর্বক প্রতারক সালমার পক্ষে প্রমাণ তৈরি ও তার বিপক্ষে থাকা প্রমাণ লোপাটের প্রচেষ্টা চলছে। সম্প্রতি জানতে পেরেছি সালমা আমার ছেলে নাসির উদ্দিনের সাথে তার বিয়ে অস্বীকার করে আমার ছেলে ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর এ লক্ষ্যে ঐ বিয়ে পড়ানো মঠবাড়িয়া পৌরসভার কাজী মাওলানা মাহমুদুল হাসান এর কাবিন বইও বেআইনিভাবে জব্দ করার অপচেষ

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

Design & Developed by BD IT HOST