ট্রলারে ভেসে আসা লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে চকরিয়া ও মহেশখালী
কামরুল ইসলাম
কক্সবাজারের নাজিরারটেক এলাকায় ভাসমান ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। নিহত সবাই মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা। ট্রলারটি মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়া গ্রামের শামসুল আলমের বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক তাওহিদুল আনোয়ার জানান, ঘটনার পরপরই রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে পিবিআইয়ের একটি দল। তবে তারা এখনও মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি।
শামসুল আলমের স্ত্রী রোকেয়া বেগম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ৭ এপ্রিল জেলেদের নিয়ে তার স্বামী শামসুল আলম সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। দীর্ঘদিন ফিরে না আসায় তিনি বিষয়টি প্রশাসন ও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। রবিবার কক্সবাজারে ট্রলারে মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনে ছুটে এসেছেন তিনি এবং ট্রলারটি তার স্বামীর বলে শনাক্তও করেছেন।
তিনি আরও জানান, তার এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম অনুসারে ট্রলারের নাম রাখা হয় এফবি কালু। কিন্তু সাগরে যাওয়ার আগে ট্রলার মেরামতের কাজ করার সময় নামটি মুছে যায়, পরে আর নামটি লিখা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শামসুল আলমের ট্রলারে তিনিসহ ১১ জন জেলে ছিলেন। তাদের কেউ বাড়ি ফিরে আসেনি এবং তাদের সাথে পরিবারের কারো যোগাযোগও নেই। নিখোঁজ ওই ট্রলারে মহেশখালীর ৮ জন এবং চকরিয়ার ৩ জন জেলে ছিলেন।
তারা হলেন— মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়া গ্রামের আবু জাফরের ছেলে শামসুল আলম (২৩), মোহাম্মদ মুসা ও শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭), শাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮) এবং চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫), জসিম উদ্দীনের পুত্র তারেক জিয়া (২৫)।
নিখোঁজ থাকা জেলে নুরুল কবিরের পিতা মোহাম্মদ হোসেন জানান, তার ছেলে দিনমজুর। সাগরে মাছ ধরা, ঝালমুড়ি বিক্রি, দৈনিক মজুরি খাটাসহ যে কাজ পান তা করে জীবন চালায়। ৭ এপ্রিল তার ছেলে নুরুল কবিরসহ একই এলাকার আরও ৫ জন ট্রলারে করে মাছ ধরতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সাগরে তা