দুপচাঁচিয়ায় ইরি – বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু
সুশান্ত মালাকার দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ইরি – বোরো ধান কাটা ও মারাই শুরু হয়েছে। কৃষকরা বলছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হবে বলে তারা আশাবাদী। কৃষকরা এও বলছেন ধান কাটার এই মৌসুমে তীব্র তাপদাহের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলিত ইরি-বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় ১১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে ইরি- বোরো ধান রোপন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যা শতভাগ রোপন করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে মাঠগুলোতে যতদূর পর্যন্ত চোখে দেখা যায় ততদূর পর্যন্ত শুধু সোনালী আর সোনালী ধানক্ষেত দেখা যায়। গত কয়েকদিন যাবত নিম্নাঞ্চল তালোড়া ইউনিয়নের দোগাছি পরানপুর পোড়াঘাটা কইল ও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর খিহালী মধ্যপাড়া বেলোহালী মাঠের ধান কাটা ও মারাই পুরোদমে শুরু হয়েছে। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও ধান কাটা মাড়ায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। এদিকে গত কয়েকদিন যাবত তীব্র তাপদাহের কারণে শ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে পারছে না। সে কারণে কৃষকরা শ্রমিক সংকটেও ভুগছেন। এ ব্যাপারে উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের কইল গ্রামের কৃষক সুজন কুমার সেন, মন্টু কুমার মালাকার, কারজুন ইসলাম, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বেলোহালী গ্রামের শহিদুল ইসলাম সহ অনেকেই জানান এবার ইরি -বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বিঘা প্রতি ২২ থেকে ২৫ মন হারে ফলন হতে পারে। তবে তীব্র গরম ও বৃষ্টির কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় ধান কাটার খরচও বেড়েছে। শুরুতেই তারা বিঘা প্রতি ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে চুক্তিতে শ্রমিক ঠিক করলেও বর্তমানে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা চুক্তিতে ধান কাটতে হচ্ছে। তাতে বর্তমানে একজন শ্রমিকের দিনমজুরি সর্বনিম্ন ১৪ থেকে ১৫শ টাকা। ফলে এলাকার অনেক অটোচালক সহ অন্যা পেশার মানুষেরাও অধিক আয়ের আশায় ধান কাটার কাজ করছেন। সামনে কালবৈশাখি ঝড় হতে পারে এ আশংকায় কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য অধিক মূল্য দিয়েই শ্রমিকদের সাথে চুক্তি করে ধান কেটে নিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম জানান, এ উপজেলায় ১১ হাজার ৭৫০ সেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মাঝে কিছু ধান কাটাও হয়েছে, বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধান কাটা ও মাড়ায়ে কোন সমস্যা হবে না বলে তিনি মনে করেন।