নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এক দশক কাটিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এক দশক কাটিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে, নতুন রাষ্ট্রপতিকে দায়িত্ব বুঝে দিয়ে উঠলেন নিকুঞ্জের বাড়িতে।
সোমবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাজসিক ও ঐতিহাসিক বিদায় সংবর্ধনা শেষে বেলা দুইটার দিকে রাজধানীর নিকুঞ্জে পৌঁছান সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি। সেখানে ‘রাষ্ট্রপতি লজে’ উঠেছেন তিনি।
নিকুঞ্জের নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর পর তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাড়িতে উঠে বেলকুনি থেকে হাত নেড়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান আবদুল হামিদ।
নিকুঞ্জের নিজ বাসভবনে সামনে সাংবাদিকদের সদ্য বিদায় রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, অবসর জীবনকে তিনি তিনটি ভাগে ভাগ করেছেন। রাজধানী ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও হাওর এলাকায় তিনি অবসর সময় কাটাবেন। তার মধ্যে হাওর এলাকায় তিনি বেশি সময় দেবেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি আশা করি আগামীতে বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া তিনি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এর জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাধাহীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান মো. আব্দুল হামিদ।
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ গ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর বঙ্গভবন থেকে আবদুল হামিদকে বিদায়ী সংবর্ধনা শুরু হয়।
বঙ্গভবন থেকে কোনও রাষ্ট্রপতির এমন রাজসিক বিদায় কখনও দেখেননি কেউ; আর এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস হয়ে উঠলেন দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনও গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকার মধ্যেই রাষ্ট্রপ্রধান মেয়াদ শেষ করে রাজসিক বিদায় গ্রহণ করলেন।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে দেশের ইতিহাসেও প্রথম কোনও রাষ্ট্রপতিকে এমন আড়ম্বরপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিদায় জানানো হলো।
নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কে আবদুল হামিদের বাড়িটি তিন কাঠা জমির ওপর। ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এই জমি বরাদ্দ পেয়েছিলেন তিনি।
কয়েক বছরের কাজ শেষে ওই জমির ওপর তিনতলার একটি ডুপ্লেক্স করেছেন রাষ্ট্রপতি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে একজন ব্যক্তিগত সহকারী এবং একজন অ্যাটেনডেন্ট পাবেন আবদুল হামিদ। পাবেন সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা কর্মী। তার বাড়িয়ে সরকারি সুবিধায় রয়েছে একটি টেলিফোন সংযোগ। সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাবে কূটনৈতিক পাসপোর্ট।