বিদ্যুৎ এর বিষয়ে একটি বিশেষ ঘোষণা
কামরুল ইসলাম
সম্ভবত আজকে রাত থেকে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হতে চলছে। ভয়াবহ লোডশেডিং বিপর্যয়ের মুখে দেশ। এটি একটি জাতীয় বিপর্যয়।এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ কর্মীদের বা বিদ্যুতের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কিছুই করার নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে উপকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয় না। সাধারণত, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হলেই, সিস্টেমের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য লোডশেডিং করা হয়। ভারসাম্য অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহার এর মধ্যে সমন্বয় করা না গেলে, জাতীয় গ্রিড ফেইল এর মাধ্যমে, সমগ্র দেশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন(ব্লাক আউট) হয়ে যেতে পারে।
সে ক্ষেত্রে, সমগ্র দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে, অনেক দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়। এই বিপর্যয় এড়ানোর জন্যই, ঘন ঘন লোডশেডিং করা হয়। অনেকটা ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে, বৃহৎ স্বার্থ রক্ষা করা।
বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ার কারণ কি ??
সাধারণত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানির ঘাটতি ও টেকনিক্যাল প্রবলেমের কারণেই এমনটি হয়ে থাকে।আমাদের নিজস্ব জ্বালানির সংকট থাকায়, আমরা অনেকটাই আমদানি নির্ভর।সে ক্ষেত্রে ডলার সংকট, বিদ্যুৎ খাতে আইএমএফ এর ভর্তুকির শর্ত ইত্যাদি সহ অনেক রাজনৈতিক বিষয় সংশ্লিষ্ট।।
গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের জন্য, কিছু মানুষ সকল প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে, নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিনিদ্র রজনীতে, অক্লান্ত দুটি চোখে তাকিয়ে আছে হাজারো মানুষ। নিজের জীবনকে বাজি রেখে উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুতায়িত লাইন কিংবা সরঞ্জামে কাজ করছে, বিদ্যুৎ কর্মীরা। হাজারো ত্যাগ, পরিশ্রম, চেষ্টা ও সাধনায় স্বাভাবিক রাখছে পুরো দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে।
তারপরেও সম্মানিত গ্রাহকগনের অনাকাংখিত এবং সাময়িক কষ্টের জন্য আমরা দুঃখিত। জাতীয় এই সমস্যায় আশা করি পাশে থাকবেন। বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করার অনুরোধ সহ সকলের সুস্থ্য থাকার প্রত্যাশায়।