মহাপরিচালকের নির্দেশ অমান্য করে বদলীকৃত অফিসারকে নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যক্রম পরিচালনা
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিক সাতক্ষীরা
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা অমান্য করে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার নিজের ইচ্ছামত অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে আশাশুনির সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু সেলিমকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর এক পত্রে (৩৮.০১.০০০০.১০১.১৯.০০৯.২৩—৪৩৫ নং স্মারকে) আশাশুনি উপজেলা থেকে বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় বদলি করা হয়। উক্ত পত্রে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার আবু সেলিমকে দুই অক্টোবরের মধ্যে তার বদলিকৃত কর্মসংস্থানে যোগদান না করলে, পরের দিন ৩ তারিখে আবু সেলিমের বদলী স্টান রিলিজ বলে গণ্য হবে, মর্মে পত্রে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে তিনি ০২ অক্টোবর বদলি না হয়ে দিনভর খুলনায় প্রশিক্ষণ শেষে বহাল তবিলতে আশাশুনিতে অফিস করছেন। শুধু এখানেই শেষ নয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মিরপুর ঢাকা থেকে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার আবু সেলিমকে বদলি করা হলেও সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিম মহাপরিচালকের নির্দেশনা অমান্য করে চলতি মাসের ২০ তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ৩৮.০১.৮৭০০.১৮৭.২৫.০০১.২২—২৮২৪ নং স্মারকে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসে সম্মিলিত গ্রেডেশন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক (ওয়ার্কশপ) একদিনের প্রশিক্ষণে ৫নং কলামে আবু সেলিমকে আমন্ত্রণ জানান। আবু সেলিমের বদলির বিষয়ে এবং তার দায়িত্ব বুঝে নেওয়া রিলিজ অর্ডারের বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার আব্দুর রকিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবু সেলিম এখনো পর্যন্ত তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বদলি হওয়ার পরেও তিনি কিছুদিন সময় পাবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা। তবে ডিপি অফিসে আবু সেলিমের প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু সেলিম বলেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সব হবে। এখানে নিজের ইচ্ছেমতো কোন কিছুই করার সুযোগ নেই। বদলির পরেও প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ডিপিও অফিস থেকে প্রশিক্ষণের জন্য তাকে দাওয়াত করলে সেখানে তো তার কোন দোষ নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিম সাংবাদিকদের বলেন আবু সেলিমের বদলি এবং প্রশিক্ষণে তাকে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে জানাবেন। বিষয়টি জানার জন্য সন্ধ্যায় তাকে আবারো ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে আবু সেলিম তার বদলির অর্ডার স্ট্রে করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।