রানীশংকৈলে গভীর গর্তে পড়ে এক (মাঝারি) প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
মোঃ আব্দুল জব্বার রানীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার অন্তর্গত ৮ নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বলিদ্বারা বগুড়া পাড়ার সাদেকের (মাঝারি)প্রতিবন্ধী ছেলে লালটু (২১) হঠাৎ পাড়ার ছোট এক গভীর গর্তে পড়ে মৃত্যু হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় গতকাল ০৭/০৭/২৩ ইং তারিখে সকাল ৯ ঘটিকার সময় দুলু মিয়ার সাথে লালটু রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যায়। সারাদিন কাজ শেষে বিকালে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কিন্তু সে বাড়ি ফিরে নাই বাড়ি না ফেরার কারণে তার মা,আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশী, লালটু কে খোঁজাখুঁজি করে পরে আনুমানিক সময় রাত ১১ টার সময় হঠাৎ পাড়ার সেই গভীর গর্তে তার মাথার টুপি ভেসে থাকতে দেখে দুলু মিয়া ও তার সাথে থাকা লোকজন।
তারপর তারা রানীশংকৈল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অনেক খোঁজাখুঁজি করে রাত ১ টার সময় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
তাকে উদ্ধার করার পর তার আত্মীয়-স্বজন আজ ০৮/০৭/২৩ ইং সকাল ১১টার সময় দাফন কার্য করার প্রস্তুতি নেয়। মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত এবং বুকে কাঁটা রক্তাক্ত দাগ থাকায় এতে এলাকাবাসীর অনেকের সন্দেহ হয় এবং প্রশাসনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রানীশংকৈল থানার ওসি (তদন্ত )মহাসিন আলী তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যান। ঘটনা স্থলে যাওয়ার পর লাশের সুরাতল করে ময়না তদন্তের জন্য গাড়িতে উঠানোর সময় এলাকাবাসী বাঁধা দেয় ।
বাঁধা দেওয়ার পর খবর শুনে রানীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন এবং তিনি এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে বলেন তার আঘাত থাকায় সন্দেহ হওয়ায় তার মৃত্যুটি পানিতে ডুবে হয়েছে কিনা বা তাকে হত্যা করা হয়েছে তা ময়না তদন্তের দরকার।
এরপর এলাকাবাসী লাশ ময়না তদন্তের জন্য অনুমতি দেন।
এ বিষয়ে রানীশংকৈল থানার ওসি গুলফামুল ইসলাম মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।