নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

শিদলাই মাদরাসায় আধিপত্যের প্রদর্শনী ও সুযোগ্য অধ্যক্ষ মহোদয়কে পদচ্যুত করা অন্যায়। সচেতন মহলের হস্তক্ষেপ ও সমাধান কাম্য।
শিদলাই দারুল ইসলাম ফাজিল মাদরাসা আমাদের গ্রামের দ্বীনি শিক্ষার এক সমুজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। শিদলাই গ্রামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মানব মরহুম আব্দুল জাব্বার পীরসাহেব রহ. প্রতিষ্ঠিত এবং আমার মরহুম উস্তাজ মরহুম শাহ আব্দুল হান্নান পীরসাহেব রহ. এর অক্লান্ত জীবন সাধনার ফসল এই মাদরাসা। তাছাড়াও আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের ঘাম-রক্ত-দুআ মিশে আছে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে। এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত না হলে অত্র এলাকা হয়তো অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতো। কিন্তু আফসোসের বিষয়, শত শত আলেম তৈরির এই কারখাটি আজ অশান্ত ও আধিপত্যের দ্বন্দ্বে হুমকির সম্মুখীন।
একদল লোক কেবল তাদের নেতৃত্ব ও আধিপত্যের লোভে মাদরাসায় একটি অস্থিরতা তৈরি করেছে। তারা এই মাদরাসার সুযোগ্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমিন পীরসাহেবকে সরিয়ে দিয়েছে। তাদের এতটুকু বোধ শক্তি নেই যে, একজন নন-আলেম একটি ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল হতে পারে না। যেই পরিবারের স্বপ্নের ও কোরবানির ফসল এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠান সেই পরিবারের সন্তানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বর্তমান কমিটি অন্যায় করেছে, মাদরাসার উপর জুলুম করেছে, বাহাদুরি দেখিয়েছে বলে সবাই মনে করে। এর মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান ও সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ব্যাক্তি রুহুল আমিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। হজরত মাওঃ রুহুল আমিন আমার অত্যন্ত স্নেহের প্রিয় অনুজ তাঁর নিজ যোগ্যতায় একদিন এই মাদরাসার চেয়েও বড় প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হবে ইনশাআল্লাহ। তাঁর প্রতি কারো দয়া বা করুণার প্রয়োজন নাই। কিন্তু আজকে যারা এই ষড়যন্ত্র ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রদর্শন করছে ও একজন যোগ্য শিক্ষকের সাথে অবিচার করছে তাদের কথা এই সমাজ মনে রাখবে, ইনশাআল্লাহ।

তবে এখনও সময় আছে। আশা করি নতুন কমিটির সদস্যবৃন্দের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। নেতৃত্ব কে দিবে সেটা বিষয় নয়; নিঃস্বার্থ ভাবে সঠিক ও ইনসাফপূর্ণ ভূমিকাই প্রত্যাশিত। কারো প্রতি বিদ্বেষের কারণে যেন প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

একই সাথে সমাজের জ্ঞানী-গুণী ও সচেতন মহলের এই বিষয়ে সঠিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *