সারাদেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে গরমে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ
।। মোঃ আব্দুল জব্বার রানীশংকৈল ( ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।।
মেঘমুক্ত আকাশ, সূর্যের চোখ রাঙানি। তীব্র তাপদাহের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে জনজীবন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অতি গরমে দিশেহারা নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা।
কয়েকদিন থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে চৈত্র এবং বৈশাখের তীব্র রোদে পুড়ছে ঠাকুর গাঁও জেলাবাসী। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে তাপমাত্রা। একটু স্বস্থির জন্য সকলে খোঁজেন ছায়াযুক্ত জায়গা। দিনে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা শুরু হয়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে থাকে আজ রবিবার রোদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬’ সেলসিয়াস তীব্র এ গরমে সাধারণ মানুষ বের না হওয়ায় আয় কমেছে খেটে খাওয়া মানুষদের। স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ খেটেঁ খাওয়া মানুষ।
ভ্যানচালক মোঃ সিরাজুল হোসেন জানান, আগে প্রতিদিন ৩০০থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম হতো কিন্ত প্রচন্ড রোদ আর ভাবশা গরমে অতিষ্ঠ মানুষ কেউ তেমন আর ভ্যানে উঠতে চায়না ফলে বিপাকে পড়েছি।
রাণীশংকৈলের মহল বাড়ি কৃষক, মোঃ রেজাউল ইসলাম জানান প্রচন্ড রোদে মাঠ ঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে, ফলে ধানের সেচে বাড়তি খরচ বুনতে হচ্ছে আমাদের,বৈশাখ মাস পড়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত পানির এক ফোটা ছিটে ফোটাও নেই। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের লাভের পরিবর্তে লোকসানের প্রহর গুনতে হবে।
তীব্র গরমে হুহু করে বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বর কাশি,বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক এবং শিশুরা। রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ ফিরোজ আলম জানান চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার স্যালাইন ঘনঘন খাওয়া উচিত। ঠান্ডা তরল জাতীয় খাবার খাওয়া এবং সম্পুর্ন বিশ্রাম নেওয়া। পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড় তেতুলিয়ার ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাসেল শাহ জানান সাধারণত বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে পানি না হওয়ার কারণে এরুপ রোদের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে তবে এরুপ তাপদাহ আরো কয়েক দিন থাকতে পারে।