হাজিরহাট সার্বজনীন দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা
দিপু মন্ডল যশোর জেলা,প্রতিনিধি:
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের আর মাত্র১৪দিন বাকি। এবার ১৪ অক্টোবর মহালয়া তার আগেই শেষ করতে হবে প্রতিমা তৈরির কাজ শারদীয় দুর্গা পূজার দিনক্ষণ গণনা শুরু।এইউৎসবকে ঘিরে যশোরের বিভিন্ন মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।১৫অক্টোবর মহালয়া তার আগেই শেষ করতে হবে প্রতিমা তৈরি কাজ।ব্যস্ত সময় পার করছেন কারি গররা।দেবী দুর্গা,সরস্বতী,কার্তিক,গণেশ,লক্ষ্মীকে আকৃতি দিতে ঘাম ঝরাচ্ছেন তারা। বৃহস্পতিবার(৫অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ধীন হাজিরহাট সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে চলছে রাত-দিন প্রতিমা তৈরির কাজ।শিল্পী আর সহযোগীরা মিলে বানাচ্ছেন দুর্গাপূজার প্রতিমা।মাটি আর খড় পানি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে এসব প্রতিমা।এরপর এতে দেওয়া হবে রঙ।এক সেট প্রতিমার জন্য দেবী দুর্গা ও তার চার সন্তান-সরস্বতী, কার্তিক,গণেশ,লক্ষ্মীকে বানানো হয়ে থাকে।পাশা পাশি থাকে অসুর,সিংহ,হাঁস,প্যাঁচা ও সাপ।সেখানে কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পী সুদীপ্ত বাইন।জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ বছর৪টি কাজের অর্ডার পেয়েছি।পূজার জন্য সাধারণত দুই মাস আগে থেকে কাজ শুরু করতে হয়।আমার প্রতিমার কাজ প্রায় শেষ,এখন শুধু রঙ দিয়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পালা।তিনি আরও বলেন,বর্তমান মাটি,রঙ,বাঁশের দাম বেড়ে গেছে।আগে দুর্গাপূজার এক সেট প্রতিমা তৈরি করতে২৫থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হতো।এখন তা বেড়ে ৪০ থেকে ৪৫হাজার টাকার বেশি হয়ে গেছে।পরিশ্রম অনুযায়ী আমাদের পারিশ্রমিক মিলছে না।পাশেই বসে দেবী দুর্গাকে সাজাচ্ছিলেন সাগর বিশ্বাস।তিনি বলেন,এই পেশায় কাজ করে পূজার উৎসবের সময়ই শুধু আনন্দ।সারাবছর তেমন কাজ থাকে না।বাকি দিন কষ্ট করে চলতে হয়।তরুণরা আসতে চান না এ পেশায়।আমরা যারা আগে থেকে শিখেছি তারাই প্রতিমা বানাচ্ছি।এ বিষয় জানতে চাইলে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন,এ বছর মনিরামপুর উপজেলায় ৬৫টি মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।এবং শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্নকরতে মনিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়া,চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ
জানানো হবে দেবী দুর্গাকে।এরপর ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব।