মঙ্গলবার , ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৩ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ক্ষেতলালে দুই ইউপি চেয়ারম্যান জনগণের চাপে পলাতক 

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪
জয়পুরহাট জেলা, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও এক পক্ষ অপর পক্ষকে ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পাঠানপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলার পাঠানপাড়া বাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের নির্বাচনী ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন শেষে
ক্যাম্পের সামনে পথাসভা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের উপস্থিতিতে তাঁর সমর্থক বড়তারা ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, বড়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আবু রাশেদ আলমগীর। এরপরই বক্তব্য শুরু করেন আরেক সমর্থক মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থক সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল বারিক মন্ডল ও তার সকল কর্মী সমর্থক চিটার-বাটপার বলে এবং অশালীন বক্তব্য সুরে করলে, সেখানে উপস্থিত মোস্তাকিম মন্ডলের সমর্থক হোপ গ্রামের বাবলু তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে, দুলালের সমর্থকরা তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত অপর এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারের সমর্থক আব্দুল কুদ্দুস ও এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন। ফলে তার উপরও হামলা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল ও সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারের লোকজন আসলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে জনগণ ক্ষিপ্ত হয় পাঠানপাড়া বাজার থমথমে বিরাজ করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এই ফাঁকে জনগণের চাপে বড়াইলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু রাশেদ আলমগীর এবং মামুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম পালিয়ে যায়।