শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ক্ষেতলালে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪
মোঃ গোলাম মস্তফা তালুকদার রায়হান ,( বিশেষ প্রতিনিধি )- বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে কিছুতেই রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে ঘটছেনা বাল্যবিবাহের ঘটনা
বাল্যবিবাহ রোধ আইনে বিশেষ পরিস্থিতিতে বাল্যবিবাহের বিধান রাখায় প্রকারান্তরে এ অন্যায়কে উৎসাহিত করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ রোধে উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হলেও জনসচেতনতার অভাবে তা কোনো সুফল বয়ে আনতে পারছে না।
সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে প্রশাসনসহ সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মুর্শিদা (১২) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্য বিবাহ দেয়া হয়েছে। শনিবার ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নে কাপাসঠিকরি গ্রামের মেহেদুলের  বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মুর্শিদা বানাইচ  উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। বার বছর বয়সী মুর্শিদা ষষ্ঠ শ্রেণি শেষ করে সবেমাত্র সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।
এক সূত্রে জানাযায়, বুধবার রাতে ক্ষেতলাল উপজেলা ৯ নং ওয়াড ভুয়া কাজি সাহাজান নিকাহ রেজিষ্টার সেজে  কাপাসঠিক  গ্রামে সহিদুলে নিজ বারিতে গোপনে ছপ্পা রেজিস্ট্রি তার নাম উঠে এসেছে৷
আলমপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড  মেম্বার হোসনেরা আরা, বলেন  সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের  বিষয়টি অবগত হন। তিনি বিয়ে বন্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে না পারায় বৃহস্পতিবার বিকেলে  গণমাধ্যমে খবর দেন৷ গোপনে বিয়ে হলেও শিশুটিকে স্বামীর হাতে তুলে না দিয়ে, কনের পরিবারে রেখে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে আলমপুর ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মাওলানা রুহুল আমিন চিস্তি বলেন, ‘বিয়েটা আমি রেজিস্ট্রি করিনি। বয়স কম হওয়ায় তারা গোপনে অন্য কোথাও আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন।’ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যারা এই  বাল্য বিয়ের সঙ্গে যুক্ত কোথায় এবং  কার কাছে রেজিস্টারি করেছেন তদন্তপূর্বক ওই কাজির আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷
এ বিষয়ে মধুচক্র ছাপ্পা ভুয়া নিকাহ রেজিস্টার কাজি মোঃ সাহাজানের  সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন,,
বানাইচ  উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান  শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান৷