ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ মার্চ ২০২৪
  1. অগ্নিকান্ড
  2. অনুষ্ঠান
  3. অপরাধ
  4. অবৈধ বালু উত্তোলন
  5. অভিনন্দন
  6. অভিযোগ
  7. অর্থনীতি
  8. আইন ও বিচার
  9. আওয়ামী লীগ
  10. আওয়ামী লীগে
  11. আক্রান্ত
  12. আটক
  13. আত্মহত্যা
  14. আদালত
  15. আনন্দ মিছিল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষনের কারণে বিলুপ্তি’র পথে প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী শকুন

এফ এম এ রাজ্জাক, পাইকগাছা (খুলনা)
মার্চ ৭, ২০২৪ ৬:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষনের কারণে বিলুপ্তি’র পথে প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী শকুন
এফ এম এ রাজ্জাক, পাইকগাছা (খুলনা)
গ্রাম বাংলা থেকে বিলুপ্তি’র পথে প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী শকুন। এদের আকার চিলের চেয়ে বড়। শরীর কালচে বাদামি। পালকহীন মাথা ও ঘাড়। কালো শক্তিশালী পা ও ঠোঁট। প্রচলিত আছে, এরা নাকি মৃত্যুর খবর আগে থেকে জানতে পারে। তাই এরা অসুস্থ ও মৃতপ্রায় প্রাণির চারদিকে উড়তে থাকে। অপেক্ষায় থাকে কখন ওই প্রাণিটি মারা যাবে। শকুন তীক্ষ্ম দৃষ্টিসম্পন্ন। তাই এদের বলা হয় শিকারি পাখি। প্রশস্ত ডানা তাদের। তাই দ্রুত ডানা ঝাঁপটে চলাচল করতে পারে। এরা লোকচক্ষুর আড়ালে বট, পাকুড়, অসথ, ডুমুর প্রভৃতি বিশালাকার গাছে বাসা বেঁধে থাকে। অন্ধকার গুহা কিংবা গাছের কোটরে বা পর্বতের চূড়ায় এক থেকে তিনটি সাদা বা ফ্যাকাসে ডিম পাড়ে। পরিণত বয়সে দলবেঁধে আকাশে উড়ে। এরা তাল, শিমুল, দেবদারু, তেঁতুল ও বট গাছের মগডালে বসে থাকে শিকারের আশায়। এদের গলার স্বর খুবই কর্কশ ও তীষ্ট। দেখতে খুবই কুৎসিত।
শকুনের বৈজ্ঞানিক নাম জিপস বেজ্ঞালেনসিস। এই প্রজাতির পাখি বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা। অথচ দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই শিকারি পাখিটি আজ বিলুপ্তি’র দ্বারপ্রান্তে। শকুন না থাকায় নদীতে, হাওড়-বাওড়ে ও উপকূলীয় চরে প্রায়ই গৃহপালিত জীবজন্তুর মৃতদেহ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বন-বাদাড় থেকে মৃতদেহ অপসারণের ক্ষেত্রে শকুনের কোনো বিকল্প নেই। যে শকুন প্রাণির মৃতদেহ খেয়ে প্রকৃতিকে পরিস্কার রাখে। তারাই আজ বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে।
পরিবেশ-প্রকৃতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা-
ইউসিএন এই শিকারি প্রজাতির শকুনকে ‘বিশ্ব মহাবিপন্ন’ পাখি ঘোষণা করেছে। কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে ৭ প্রজাতির শকুন দেখা যেত। এর মধ্যে চার প্রজাতির শকুন এদেশের অনিয়মিত আগুন্তুক। প্রজাতিগুলো হলো- ইউরেশিয়া, গৃধিনি, হিমালয়ী-গৃধিনি, ধলা শকুন এবং কালা শকুন। বাকি তিন প্রজাতি বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করত। প্রজাতিগুলো হলো- বাংলা শকুন, সরসঠুটি শকুন ও রাজশকুন। গত প্রায় ৪৫ বছরে সরসঠুটি- শকুন ও রাজ-শকুন বাংলাদেশ হতে পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন অল্প কিছু ‘বাংলা শকুন’ বেঁচে আছে। গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে পশুচিকিৎসায় বেদনা নাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ‘ডাইক্লোফেন’। পাশাপাশি মানুষের জন্য যে ডাইক্লোফেন আছে তাও গবাদি পশুর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ডাইক্লোফেনের বিকল্প হিসেবে যে ‘কিটোপ্রোফেন’ ব্যবহার করা হয় তাতেও শকুন মারা যায়। ওইসব ওষুধ খাওয়া মৃত পশু খেয়ে মারা যাচ্ছে শকুন। ফলে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে শকুনের সংখ্যা। কিছু দরকারি পদক্ষেপ ও কঠোর বাস্তবায়ন হলে শকুন বিলুপ্ত রোধ করা সম্ভব। যেমন-পশুচিকিৎসায় ‘ডাইক্লোফেনের’ ব্যবহার বন্ধের জন্য সরকারি নিষেধাজ্ঞাটি মাঠ পর্যায়ে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা। মানুষের জন্য যে ডাইক্লোফেন রয়েছে, পশুচিকিৎসায় তার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
কিটোপ্রোফেন ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মেলোক্সিক্যাম ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং শকুন না মারার জন্য প্রচারণা চালাতে হবে। তাহলেই চোখের সামনে অতি প্রয়োজনীয় ও অতুলনীয় এই পাখিটি বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত রোধ করা সম্ভব হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।

Design & Developed by BD IT HOST